বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বুধবার অনলাইন মিটিংয়ে ইংল্যান্ড থেকে নেপাল ম্যাচ নিয়ে নিজের ভাবনা জানান ডে। দীর্ঘ সময় পর মাঠে ফেরা শিষ্যদের ফিটনেস, দলীয় চাওয়া, অল্প সময়ের মধ্যে নেপাল ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন এই ইংলিশ কোচ।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় গত মার্চ থেকে বন্ধ দেশের ফুটবল। গত অগাস্টে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হলেও বিশ্বকাপ বাছাই ফের পিছিয়ে যাওয়ায় তা বন্ধ হয়ে যায়।
আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে আগামী শুক্রবার থেকে ৩৬ জনকে নিয়ে শুরু হবে ক্যাম্প। প্রধান কোচ ডে ইংল্যান্ড থেকে না ফেরা পর্যন্ত আপাতত স্থানীয় কোচরা দেখভাল করবেন দলের।
নেপাল ম্যাচের জন্য প্রস্তুতির খুব বেশি সময় পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সপ্তাহ তিনেকের প্রস্তুতিতে জীবন-মতিনদের আগের অবস্থায় ফিরে পাওয়া কঠিন। ডে এই সময়ের মধ্যে সেরা প্রস্তুতি নিতে চান। জিততে চান নেপালের বিপক্ষে।
“ফিটনেসের দিক থেকে নেপাল ও বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা একই অবস্থায় থাকবে। কেননা, দুই দল প্রস্তুতির জন্য একই সময় পাচ্ছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে যারা সেরা প্রস্তুতি নিবে এবং ইনজুরি মুক্ত থাকবে, এই ২০ দিনের মধ্যে যারা সেরা দল দাঁড় করাতে পারবে, তারাই ফল পাবে। সব কোচই জিততে চাই। তবে এটা শুধু জয়ের ব্যাপার নয়, খেলার জন্য প্রস্তুত হওয়ার বিষয়ও।”
“আমরা ছেলেদেরকে সাত মাস পর খেলতে নামাব। কিছু খেলোয়াড় প্রস্তুত থাকবে না। কারো তিন থেকে পাঁচ ম্যাচ লাগবে আগের পারফরম্যান্সের পর্যায়ে পৌঁছাতে। আমার কাজ হচ্ছে এই ২০ দিনের মধ্যে দলকে সম্ভাব্য সেরা অবস্থায় নিয়ে আসার।”
২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইয়ে এশিয়া অঞ্চলের খেলা এ বছর গড়াবে না মাঠে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী বছর শুরু হতে পারে। নেপাল ম্যাচ দিয়ে নতুন বছরের প্রস্তুতিও সেরে রাখতে চান ডে।
“নেপালের বিপক্ষে আমরা জিততে চাই, কিন্তু বাংলাদেশে ফুটবল ফেরা এবং খেলায় ফেরা গুরুত্বপূর্ণ। সামনের অনেক ম্যাচ ও প্রতিযোগিতা থাকবে; খুবই ব্যস্ত বছরের জন্য প্রস্তুতি শুরুর জন্য এটা ভালো সময়।”