ইউনাইটেডের কাছে ফের হারল পিএসজি

প্রথমবারের মতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অধিনায়কের আর্মব্যান্ড উঠল বাহুতে। গোল করে প্রতিদান দিলেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি কেড়ে নিল অঁতনি মার্সিয়ালের আত্মঘাতী গোল। শেষ দিকে জমে ওঠা ম্যাচে মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের দারুণ গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতবারের রানার্সআপ পিএসজিকে হারিয়ে শুভসূচনা করল উলে গুনার সুলশারের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2020, 09:01 PM
Updated : 20 Oct 2020, 09:50 PM

প্যারিসে মঙ্গলবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে পিএসজিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইউনাইটেড।  নেইমার-এমবাপে-দি মারিয়ায় সাজানো স্বাগতিকদের শক্তিশালী আক্রমণভাগ পায়নি জালের দেখা।

২০১৮-১৯ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পর প্রথম দেখায় নিজেদের মাঠে আবারও হারল পিএসজি। সেবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২-০ গোলে জয়ের পর ফরাসি ক্লাবটি নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগে ৩-১ ব্যবধানে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল।

শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকা পিএসজি একটু একটু করে ইউনাইটেডের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে। গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়ার দৃঢ়তায় আর কিছুটা ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

দ্বাদশ মিনিটে দি মারিয়ার বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান দে হেয়া। দ্বিতীয় দফায় নেইমারের ছোট কর্নারের পর কিলিয়ান এমবাপের ক্রসে গোলমুখে থাকা লেইভিন কুরজাওয়া পা ছোঁয়ালেও বল ইউনাইটেড গোলরক্ষকের পায়ে লেগে ফিরে।

২০তম মিনিটে মার্সিয়ালকে ডি-বক্সে পেছন থেকে আবদু দিয়ালো ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। ব্রুনো ফের্নান্দেসের দুর্বল শট ঝাঁপিয়ে ফেরান নাভাস। কিন্তু পিএসজি গোলরক্ষক আগেই গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসায় ভিএআর দেখে ফের পেনাল্টি শটের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। এবার আর হতাশ করেননি ফের্নান্দেস।

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউনাইটেডের জার্সিতে অভিষেকের পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দলটির হয়ে ১২টি পেনাল্টি শট নিয়ে ১১টিতে লক্ষ্যভেদ করলেন ফের্নান্দেস।

৩৪তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া এমবাপে আলেক্স চুয়োজেঁবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে পড়ে যান। পেনাল্টির আবেদন তুলে রেফারির সাড়া মেলেনি; উল্টো হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার।

পাঁচ মিনিট পর ডি-বক্সের বেশ বাইরে থেকে ফের্নান্দেসের শট ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি নাভাস। এরপর কর্নারে ইউনাইটেডের স্কট ম্যাকটমিনের হেড দিয়ালোর গায়ে লেগে অল্পের জন্য পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দে হেয়ার দারুণ সেভে সমতায় ফেরা হয়নি পিএসজির। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সে জায়গা করে নিয়ে এমবাপের দূরের পোস্টে নেওয়া শট ফেরান স্প্যানিশ গোলরক্ষক।

এমবাপের কাটব্যাক ক্রসবারে লেগে ফেরার পর ৫৪ মিনিটের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে পিএসজি। নেইমারের কর্নার অনেকটা লাফিয়ে উঠে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড মার্সিয়াল।

একটু পর এমবাপের শট আটকে ইউনাইটেডের ত্রাতা অ্যারন ওয়ান-বিসাকা।

৭৯তম মিনিটে ফের্নান্দেস মার্সিয়ালের উদ্দেশে বল বাড়িয়েছিলেন, কিন্তু এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে যায় র‌্যাশফোর্ডের কাছে। এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের জোরালো শট ফিরিয়ে পিএসজিকে ম্যাচে রাখেন নাভাস।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের বাকিটা সময় বেশ জমে ওঠে। কিন্তু প্রতিপক্ষের বিপদসীমায় ঢুকে তালগোল পাকাতে থাকে দুই দলই। অবশেষে ৮৭তম মিনিটে পল পগবার ছোট পাস ধরে একটু এগিয়ে র‌্যাশফোর্ড কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড।

গ্রুপের আরেক ম্যাচে ঘরের মাঠে লাইপজিগ ২-০ গোলে হারায় ইস্তানবুল বাসাকসেহিরকে।