আলো ছড়ালেন মেসি, উড়ল বার্সেলোনা

অধিনায়ক লিওনেল মেসি গোল করলেন ও করালেন। জালের দেখা পেলেন আক্রমণভাগের অন্য তারকারাও। নজরকাড়া পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শুরুটা দুর্দান্ত হলো বার্সেলোনার। ফেরেন্সভারোসের বিপক্ষে পুরোটা সময় দাপট ধরে রেখে প্রত্যাশিত জয় তুলে নিল রোনাল্ড কুমানের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2020, 08:50 PM
Updated : 20 Oct 2020, 09:39 PM

কাম্প নউয়ে মঙ্গলবার রাতে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ৫-১ গোলে জিতেছে শেষের অনেকটা সময় এক জন কম নিয়ে খেলা বার্সেলোনা। একটি করে গোল করেন মেসি, আনসু ফাতি, ফিলিপে কৌতিনিয়ো, পেদ্রি ও উসমান দেম্বেলে।

গত আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার তিক্ত স্মৃতি তো ছিলই, সঙ্গে চলতি মৌসুমে লা লিগায় টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর হতাশা-দারুণ পারফরম্যান্সে সেসবে প্রলেপ দিল মেসি ও তার সতীর্থরা। তাতে ২৫ বছর পর ইউরোপ সেরার মঞ্চে ফেরা ফেরেন্সভারোসের শুরুটা হলো ভীষণ বাজে।

দশম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতেছিলেন ফেরেন্সভারোসের এনগুয়েন। কিন্তু গোল মেলেনি, মাঝমাঠে বল রিসিভের সময় অফসাইডে ছিলেন তিনি। ১০ মিনিট পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ইসায়েল দা সিলভার বুলেট গতির শট পোস্টে লাগলে হতাশা বাড়ে দলটির।

এর মাঝে ১৭তম মিনিটে মেসির ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট রুখে দেন গোলরক্ষক। ২৭তম মিনিটে অধিনায়কের সফল স্পট কিকেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।

ড্রিবলিংয়ে একজনের বাধা এড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া মেসিকে ডিফেন্ডার আদনান কোভাসেভিচ ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। জোরালো নিচু শটে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১১৬তম গোলটি করেন আর্জেন্টাইন তারকা।

৪২তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাতি। ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে ব্যাকপাস দিয়ে ছোট ডি-বক্সের মুখে ছুটে যান স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড। সতীর্থের ফিরতি ক্রস পেয়ে ঠিকমতো ভলি মারতে পারেননি তিনি; তবে বল ঠিকই গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়।

দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে দারুণ পাসিং ফুটবলে সাজানো আক্রমণে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সেলোনা। ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ঘিরে থাকা ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে ফাতিকে বল বাড়ান মেসি। সময় নষ্ট না করে সাইড ফুট পাসে বাঁ দিকে বাড়ান প্রতিযোগিতার সর্বকণিষ্ঠ গোলদাতা। আর প্রথম ছোঁয়ায় নিচু শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ধারে বায়ার্ন মিউনিখে খেলে ফেরা কৌতিনিয়ো।

৭০তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান কমান ইউক্রেনের মিডফিল্ডার খারাতিন। ডি-বক্সে এনগুয়েনকে ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে ফাউল করায় পেনাল্টিটি পায় সফরকারীরা। লাল কার্ডও দেখেন পিকে; সিদ্ধান্তটি নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠতে পারে।

রক্ষণের মূল সেনা না থাকলেও জয় নিয়ে ভাবতে হয়নি বার্সেলোনাকে। ৮২তম মিনিটে বাইলাইন থেকে দেম্বেলের কাটব্যাক ফাঁকায় পেয়ে নিচু শটে স্কোরলাইন ৪-১ করেন ফাতির বদলি নামা পেদ্রি।

আর ৮৯তম মিনিটে হাঙ্গেরির দলটির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন দেম্বেলে। ডি-বক্সে মেসির ছোট পাস পেয়ে জোরালো শটে গোলটি করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।       

পিকের লাল কার্ড এই ম্যাচের ফলে তেমন কোনো প্রভাব না ফেললেও বার্সেলোনার জন্য তা যথেষ্ট দুর্ভাবনার কারণ হতে পারে। আগামী ২৮ অক্টোবর গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় ম্যাচে ইউভেন্তুসের বিপক্ষে অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারকে পাবে না পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

এর আগে গ্রুপের অন্য ম্যাচে আলভারো মোরাতার জোড়া গোলে দিনামো কিয়েভের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জেতে ইউভেন্তুস।