হকিতে মোহামেডান ও মেরিনার্সের শাস্তি প্রত্যাহার

দুই বছর আগে তৈরি হওয়া জটিলতার অবসান হলো। মোহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও মেরিনার ইয়াংসের কর্মকর্তাদের শাস্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2020, 01:11 PM
Updated : 20 Oct 2020, 01:11 PM

অচলাবস্থা কাটিয়ে হকিকে মাঠে ফেরাতে সব উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন ফেডারেশনের সভাপতি বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাশিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।

২০১৮ সালের জুনে লিগের সুপার ফাইভে মোহামেডান ও মেরিনার্সের মধ্যকার ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দফায় দফায় রিভিউ এবং খেলা বন্ধ থাকলে শেষ পর্যন্ত ৪৪ মিনিটের পর আর খেলাই হয়নি। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের ম্যাচটি ১-১ ড্রয়ে ঝুলে গিয়েছিল। শিরোপা ঘরে তুলতে ম্যাচটি ড্র হলেই চলত মোহামেডানের, কিন্তু মেরিনার্সের জয়ের বিকল্প ছিল না।

প্রায় পাঁচ মাস ঝুলে থাকার পর নভেম্বরের শুরুর দিকে ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি মোহামেডানকে ২০১৮ সালের প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছিল।

ওই ম্যাচের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় মোহামেডানের কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রিন্স, ম্যানেজার আসাদুজ্জামান চন্দন ও মেরিনার্সের সাধারণ সম্পাদক হাসানউল্লাহ খান রানাকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকেও তিন বছরের জন্য বহিষ্কার ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল নির্বাহী কমিটি।

মঙ্গলবারের বৈঠকের পর শাস্তি, জরিমানা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান সেরনিয়াবাত। আগামী ডিসেম্বরে লিগ মাঠে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

“প্রিমিয়ার লিগ মাঠে নামাতে হবে। অনেকের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, এগুলো শর্তসাপেক্ষে মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সবাই মিলে আলোচনা করে। সবার বক্তব্য শুনে আমরা একটা জিনিস চাই, সবাই যেন খেলতে আসে। একই সময় যে গঠনতন্ত্র তার সঙ্গেও কম্প্রোমাইজ করতে চাই না। যদি করতে হয়, তাহলে বাইলজে পরিবর্তন সাধন করেই করতে হবে।”

“লিগ অনেক দিন হয় না। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উষার আবেদন ও সব কিছু বিবেচনা করে দেখছি…তাদের খেলতে বললে গঠনতন্ত্র ভায়োলেট হয় কিনা। ওই সময়ের লোকদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আশা করি, ১ ডিসেম্বর প্রিমিয়ার লিগ চালু করতে পারব। দলবদলের জন্য ১০-১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সব কিছু হবে।”

হকিতে শাস্তি দেওয়া এবং প্রত্যাহারের ঘটনা হরহামেশাই হয়। তবে সামনের দিনগুলোতে এর পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও জানান সভাপতি।

“হকিতে আমরা যদি এ বিষয়ে দৃঢ় না থাকি, তাহলে হকি এভাবে চলতেই থাকবে। আমরা ইনশাল্লাহ দৃঢ় থাকব। গত দুই বছর যে খেলা আয়োজন করেছি, প্রত্যেকটিতে শৃঙক্ষলা ধরে রেখেছি। কিন্তু যে বিষয়টা আসছে, হকির স্বার্থে মানে হকিতে যাতে সবাইকে রাখতে পারি সেই কারণেই কিন্তু আমরা বারবার এই জিনিসটাতে ব্যত্যয় ঘটিয়ে চলেছি।”

“আশা করি, ভবিষ্যতে আর কোনো অযাচিত ঘটনা বা গন্ডগোল করব না বা ওরকম কিছু আর হবে না। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটা অনুসরণ করা হবে।”