ভিএআরে ‘গোল বাতিলে’ বিস্মিত ক্লপ

সমতায় থাকা ম্যাচে যোগ করা সময়ে সাদিও মানের কাটব্যাক থেকে বল জালে পাঠালেন জর্ডান হেন্ডারসন। ডাগআউটে তখন আনন্দে আত্মহারা ইয়ুর্গেন ক্লপ। কিন্তু ভিএআরের সিদ্ধান্তে মিলল না গোল। ম্যাচের পর লিভারপুল কোচ বললেন, এমন সিদ্ধান্তে খুব অবাক হয়েছেন তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2020, 05:14 PM
Updated : 17 Oct 2020, 05:14 PM

এভারটনের মাঠে শনিবার লিগ ম্যাচে ২-২ ড্র করে লিভারপুল। হেন্ডারসন বল জালে পাঠানোর পর উৎসবে মাতে লিভারপুলের খেলোয়াড়রা। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। মানের পায়ে যখন বল আসে, তখন তিনি অফসাইডে ছিলেন। তবে সেটি এতটাই সূক্ষ্ম ব্যবধানে ছিল যে, বিশ্বাসই করতে পারছিল না সফরকারীরা। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় ক্লপের কথাতেও ফুটে উঠল সেটি।

গত মৌসুমে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে রবের্তো ফিরমিনো একবার বল জালে পাঠালে সেটিও বাতিল করা হয়েছিল প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে। সেটির উদাহরণও টানলেন ক্লপ।

"আমি ভিএআর সমর্থন করি। গত মৌসুমে (ফিরমিনোর) বগলের অংশ অফসাইড ছিল। কিন্তু এবার তেমনটা ছিল না। সবাই আমাকে বলেছে যে, এটি অফসাইড হয় না। তবে সিদ্ধান্তটি আমার মেজাজ খারাপ করেনি। দিনটা আসলে আমাদের ছিল না।”

ক্লপ জানান, ড্রেসিংরুমে ফিরে ঘটনাটা বারবার দেখেছেন তারা। তারা বুঝতে পারছেন না, কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

ম্যাচের শুরুর দিকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ট্যাকলে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক। শেষ দিকে থিয়াগো আলকান্তারাকে মারাত্মক ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন এভারটনের রিশার্লিসন। দুই খেলোয়াড়ের চোট নিয়ে চিন্তিত লিভারপুল কোচ।

"ভার্জিলের চোট ভালো মনে হচ্ছে না। অনেক সময় সে ব্যথা নিয়ে খেলে, কখনোই কোনো ম্যাচ মিস করে না। আমি জানি না, তার চোট কতটা গুরুতর। তবে ভালো মনে হচ্ছে না।”

“আমরা যখন মাঠ ছেড়ে আসছিলাম, থিয়াগো বলল, তার মনে হচ্ছে সে আঘাত পেয়েছে। আমাদের দেখতে হবে।”

আন্তর্জাতিক বিরতির আগে সবশেষ লিগ ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে ৭-২ গোলে হেরেছিল শিরোপাধারীরা। আবারও পয়েন্ট হারাল তারা। তবে এভারটনের বিপক্ষে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুশি ক্লপ।