শুটিং ফেডারেশনে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন করে শেখ রাসেল ইন্টারন্যাশনাল এয়ার রাইফেল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০ নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা জানান অপু।
“আগামী ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিন। এ উপলক্ষে আমরা প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করছি। ১৭ তারিখে উদ্বোধন। ওই দিনই প্রি ইভেন্ট ট্রেনিং হবে। আপাতত বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের শুটারদের এই ইভেন্টে অংশ নেওয়া নিশ্চিত হয়েছে। জাপান, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, কোরিয়া নিশ্চিত করেছে।”
“শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে কথা বলা আছে। আশা করি, এই দেশগুলোও যুক্ত হবে। ৬০ শটের টুর্নামেন্ট হবে। অনলাইন প্রতিযোগিতার কারণে ফাইনাল হবে না। এই শটের স্কোরের উপরই সবকিছু নির্ধারণ হবে। আমরা প্রাইজমানিও রেখেছি। সোনা-রুপা-ব্রোঞ্জ জয়ীদের জন্য যথাক্রমে এক হাজার, ৭০০ ও ৫০০ ডলার প্রাইজমানি।”
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আরও অনেক খেলার মতো শুটিংয়ের প্রতিযোগিতাগুলোও আটকে আছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার আগে শুটারদের আগের ফর্ম ফিরে পাওয়ার জন্য এ উদ্যোগ বলে জানালেন অপু।
“এই টুর্নামেন্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোভিড পরিস্থিতির কবে কি হবে জানি না। খেলোয়াড়দের নিয়ে এসে ট্রেনিং করছি, কিন্তু একঘেয়েমি হয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে যদি প্রতিযোগিতা না থাকে, চ্যালেঞ্জ না থাকে, টেম্পারমেন্ট না থাকে, তাহলে সামনে আমরা যখন অলিম্পিক, বিশ্বকাপ খেলতে যাব, তখন আর খেলাটা হবে না। কারণ বাইরের প্রতিযোগীদের সঙ্গে যদি না খেলি, তাহলে সেই টেম্পারমেন্ট পাওয়াটা শুটারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।”
প্রতিযোগিতায় প্রতিটি দেশের একজন করে ছেলে ও মেয়ে অংশ নিবে। বাংলাদেশ থেকে চূড়ান্ত হয়েছেন আব্দুল্লাহ হেল বাকি। মেয়ে শুটার কে খেলবেন তা চূড়ান্ত হয়নি এখনও।
কেবল এ বছরের জন্য নয়, শেখ রাসেলের নামে এই টুর্নামেন্টটিকে আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানালেন শুটিংয়ের সাধারণ সম্পাদক।
“এই টুর্নামেন্টটা শুধু এই বছরের জন্য না, সামনের বছরগুলোতেও এর ধারাবাহিকতা থাকবে। এটাকে আমরা একটা ইন্টারন্যাশনাল গেমসে হিসেবে রূপ দিব। এখানে যে স্কোর হবে, সেটাও অফিসিয়াল স্কোর হিসেবে বিবেচিত হবে।”