অবশ্য দুবার পিছিয়ে পড়ার পর ড্রয়ে মাঠ ছাড়তে পারাটাও ইওয়াখিম লুভের জন্য কম স্বস্তির নয়। উয়েফা নেশন্স লিগে মঙ্গলবার রাতে ‘এ’ লিগের ৪ নম্বর গ্রুপের ম্যাচে ছয় গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটি ৩-৩ ড্র হয়েছে। প্রথম পর্বে বাসেলে দুই দলের লড়াই ১-১ ড্রয়ে শেষ হয়েছিল।
আগের ম্যাচে স্পেনের কাছে হেরে আসা সুইজারল্যান্ড পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগেই এগিয়ে যায়। কর্নারে রেমো ফ্রয়লার হেড করার পর আরেক হেডে জাল খুঁজে নেন মারিও গাভরানোভিচ।
২৬তম মিনিটে জার্মানি গোল হজম করে নিজেদের ভুলে। মাঝমাঠে টনি ক্রুস বল হারানোর পর জেরদান শাচিরি তা বাড়ান সেফেরোভিচকে। ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের ক্রস আলতো টোকায় পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা নয়ারের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন ফ্রয়লার। জার্মান ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগার লাফিয়ে চেষ্টা করেছিলেন, শেষ রক্ষা হয়নি।
দুই গোল হজমের পর ২৮তম মিনিটে ঘুরে দাঁড়ানো গোলের দেখা পায় জার্মানি। কাই হাভার্টজ থেকে পাওয়া বল নিখুঁত কোনাকুনি শটে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন টিমো ভেরনার। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ক্রুসের শট বাইরের জাল কাঁপায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জার্মানির হাভার্টজের শট পোস্টে লেগে ফেরার পর ৫৫তম মিনিটে সমতা টানে ২০১৪ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ডান দিক দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে কোনাকুটি শটে লক্ষ্যভেদ করেন হাভার্টজ।
চার মিনিট পরই ভেরনারের ব্যাক পাসে সের্গে জিনাব্রির বুদ্ধিদ্বীপ্ত ব্যাক হিল দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়। আবারও সমতার স্বস্তি ফিরে জার্মান শিবিরে।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ইউলিয়ান ড্রাক্সলারকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন সুইজারল্যান্ডের ফাবিয়ান স্কার। ক্রুসের ফ্রি-কিক জার্মানিকে এনে দিতে পারেনি জয়সূচক গোল।
টানা দুই ড্রয়ের পর আগের ম্যাচে ইউক্রেনের বিপক্ষে জেতা জার্মানি আসরে এ নিয়ে তিন ম্যাচে পয়েন্ট খোয়াল। চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা।
অন্য ম্যাচে ইউক্রেনকে ১-০ গোলে হারানো স্পেন দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে গ্রুপের শীর্ষে।
জার্মানির সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ইউক্রেন। সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট ২।