বিওএতে এসে শনিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সিদ্দিকুর। জানালেন, টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি জায়গা করে নিতে উন্নত প্রশিক্ষণের প্রয়োজনের কথা।
“একের পর এক প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এশিয়ান ট্যুরের অবস্থা খুবই খারাপ। এই বছর কোনো আসর হবে বলে মনে হচ্ছে না। আগামী বছরের অবস্থাও খারাপ হবে…তাই বসে না থেকে আমেরিকায় যেতে চাই। আমার স্বপ্ন ইউরোপিয়ান ট্যুরে খেলার।”
“দেশের জন্য অলিম্পিক (রিও অলিম্পিক-২০১৬) খেলেছি। আমি আবারও যাব। প্রস্তুতির জন্য এক বছর সময় পেয়েছি। জাপানে (টোকিও অলিম্পিক) আমার সুযোগ বেশি। যদি ট্রেনিং করতে পারি, তাহলে পরের অলিম্পিকে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।”
বিওএর কাছে অর্থ সাহায্য চেয়ে করা আবেদনের সাড়া এখনও পাননি বলে জানালেন সিদ্দিকুর। প্রয়োজনে বিকল্প ভেবে রাখার কথাও জানালেন ২০১৩ সালে সর্বশেষ এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা জেতা এই গলফার।
“বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশনের মাধ্যমে ২০-২৫ দিন আগে অলিম্পিকের কাছে একটা চিঠি দিয়েছি। এই খেলা ব্যয়বহুল। আমেরিকাতে থাকা-খাওয়া ও প্রশিক্ষণ বেশ ব্যয়সাধ্য। আনুমানিক এক লাখ ৬০ হাজার ডলার চেয়েছি…কোচিং ফি, টিউশন ফিসহ। যেটা না দিলেই নয়। এখনও কোনো সাড়া পাইনি।”
“আমার কিছু সামর্থ্য আছে। কোনো সহযোগিতা না পেলে নিজের উদ্যোগে যাব। সেক্ষেত্রে হয়তো এক বছরের জন্য যেতে পারব না। তিন-চার মাসের জন্য যাব। আমার এখনও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আছে। আমার স্ত্রী ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে, তার ভিসা নেই। চেষ্টা করছি। ওর ভিসা হলে চলে যাব।”