‘এক রোনালদো থেকে শিখেছি, আরেক রোনালদোর জন্য করেছি’

ব্রাজিলের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার রোনালদো তার আদর্শ। তাকে অনুসরণ করেই বেড়ে ওঠা। ‘দা ফেনোমেনোন’-কে নিয়ে করিম বেনজেমার মুগ্ধতার শেষ নেই। ফরাসি এই ফরোয়ার্ড কথা বললেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে নিয়েও। জানালেন পর্তুগিজ তারকার জন্য নিঃস্বার্থ হয়ে ওঠা, নিজের গোলের চাওয়া বিসর্জন দেওয়ার কথা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2020, 12:14 PM
Updated : 9 Oct 2020, 12:27 PM

মুভিস্টারের একটি অনুষ্ঠানে দুই রোনালদো, জিনেদিন জিদান, নিজের ক্লাব ক্যারিয়ারসহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে মন খুলে কথা বলেছেন বেনজেমা। ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড জানিয়েছেন, ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড রোনালদোকে আদর্শ মানার কথা।

“ছোটবেলায় রোনালদো ছিলেন আমার আদর্শ। তার কারণে আমি ফুটবল খেলা দেখা শুরু করেছিলাম। তার মুভমেন্টগুলো দেখতাম এবং সেগুলো অনুকরণের চেষ্টা করতাম। আমি তার এবং (রিয়াল মাদ্রিদের বর্তমান কোচ) জিনেদিন জিদানের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।”

“কেউই রোনালদোর মতো ছিল না। আমি তাকে অনেক দেখতাম। কিছু খেলোয়াড়ের তার মতো গতি ছিল, কিন্তু ওই সময়ে তার মতো বলের নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষতা আর কারো ছিল না। সবাই মনে করে, তিনি শুধু গোল করেন, কিন্তু তিনি সবকিছুই করতেন। একজন স্ট্রাইকারের জানা দরকার, শুধু গোল নয়, কীভাবে অনেক কিছু করা যায় এবং তিনি ছিলেন এর যথার্থ উদাহরণ।”

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ইউভেন্তুসে পাড়ি জমানোর আগে তার সঙ্গে দারুণ জুটি ছিল বেনজেমার। দুজনে মিলে মাদ্রিদের দলটিকে দিয়েছেন মুঠোভরে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জেতেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।

সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে রোনালদো থাকাকালীন বেনজেমাকে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে অনেক। পর্তুগিজ তারকাকে নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করার কথাও জানালেন তিনি।

“রোনালদো ছিল গোল করার জন্য এবং তার জন্য আমাকে খেলার কৌশল পাল্টাতে হয়েছিল এবং নিজের গোল করার ইচ্ছাটা বিসর্জন দিতে হয়েছিল।”

“মাঠের ভেতরে-বাইরে জিদান আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন…যখন থেকে তিনি রিয়ালের কোচ এবং যখন তিনি কার্লো আনচেলত্তির সহকারী ছিলেন, তখন থেকে।”

২০০৯ সালে লিওঁ থেকে রিয়াল মাদ্রিদে নোঙর ফেলা বেনজেমা শুরুর সময়ে ফিরে চাইলেন। মাদ্রিদে প্রথম বছরটা খুবই কঠিন ছিল বলে জানালেন তিনি।

“রিয়ালে যোগ দিয়ে আমি খুব খুশি ছিলাম, কিন্তু আরও যে বিষয়গুলো এর সঙ্গে ছিল, তার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। এটা ছিল খুবই কঠিন; বিশেষ করে আমি একা ছিলাম এবং স্প্যানিশ বলতে পারতাম না। প্রথম বছরটা খুবই কঠিন ছিল, যেহেতু মাঠের বাইরের অনুভূতি খেলায় প্রতিফলিত হচ্ছিল।”

বেনজেমাকে ছাড়াই ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স। জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে থাকা এই ফরোয়ার্ড বরাবরের মতোই কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন। জানালেন একান্ত চাওয়াটাও।

“আমি মনে করি, যে কোনো খেলোয়াড়ই দেশের হয়ে খেলতে চায়। (আমাকে না নেওয়া নিয়ে) আমি কখনই কোনো ব্যাখ্যা পাইনি; মনে হয় সবকিছু উচ্চ মহল করেছিল। ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিততে দেখা আমাকে কষ্ট দেয়নি। কিন্তু এখন আমার জীবন হচ্ছে মাদ্রিদ।”