ক্লাবের ওয়েবসাইটে সোমবার দেওয়া বিবৃতিতে বার্সেলোনা জানায়, গত অর্থবছরে তাদের মোট আয় হয়েছে ৮৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯৯ কোটি আয়ের ১৪ শতাংশ কম হয়েছে এবার।
কোন খাতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা বিবৃতিতে বিস্তারিত তুলে ধরেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ম্যাচ ডের মোট আয়ে ক্ষতি হয়েছে চার কোটি ৭০ লাখ ইউরো। এছাড়া, দীর্ঘদিন ক্লাবের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় ক্ষতি সাড়ে তিন কোটি ইউরো আর স্টেডিয়াম ট্যুর না হওয়ায় ক্ষতি এক কোটি ৮০ লাখ ইউরো।
ইউরোপে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনও নাজুক হওয়ায় সবগুলো ম্যাচ হচ্ছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। আর এভাবে চলতে থাকলে ক্ষতির অঙ্ক আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৭৯ কোটি ১০ লাখ ইউরো।
কঠিন পরিস্থিতিতে ক্লাবের পাশে দাঁড়াতে গত মৌসুমে ফুটবল বন্ধ থাকার সময়ে কম বেতন নিতে রাজি হয়েছিল লিওনেল মেসিরা।
ব্যয় কমাতে এরই মধ্যে লুইস সুয়ারেস, আর্তুরো ভিদাল, ইভান রাকিতিচদের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছেড়ে দিয়েছে ক্লাবটি।
শিরোপাশূন্য গত মৌসুম শেষের পর দল পুনঃগঠনের আভাস দিয়েছিল বার্সেলোনা। তবে, সোমবার শেষ হতে যাওয়া দলবদলের বাজারে খেলোয়াড় কেনায় খুব একটা ব্যস্ত দেখা যায়নি তাদের।