একে অপরের প্রশংসায় ‘গুরু-শিষ্য’

কোচিং ক্যারিয়ারে শুরু থেকেই মার্সেলো বিয়েলসাকে অনুপ্রেরণা মানেন পেপ গুয়ার্দিওলা। সময়ের পথচলায় সাফল্যের চূড়ায় উঠেও গুরুর প্রতি সেই মনোভাবের এতটুকু পরিবর্তন হয়নি তার। শিষ্যের প্রতি একই দৃষ্টিভঙ্গি বিয়েলসারও। ডাগআউটে দুই কোচের মুখোমুখি লড়াইটা বাড়তি মাত্রা ছড়ালো; প্রিমিয়ার লিগে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ম্যাচ উপহার দিল তাদের খেলোয়াড়রা। এবং মাঠের লড়াই শেষেও একে অপরের প্রশংসায় মেতে উঠলেন ম্যানচেস্টার সিটি ও লিডস ইউনাইটেডের কোচ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2020, 11:19 AM
Updated : 4 Oct 2020, 01:28 PM

বিয়েলসার ‘ভাব শিষ্য’ মনে করা হয় গুয়ার্দিওলাকে। দুজনের ফুটবল দর্শনও একই। লিডসের মাঠে শনিবারের ম্যাচটি নিয়ে তাই ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ ছিল অন্যরকম। হতাশ হতে হয়নি তাদের। আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজানো ম্যাচটি ড্র হয় ১-১ গোলে।

বিয়েলসার প্রতি ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা কখনোই গোপন রাখেননি গুয়ার্দিওলা। আগে থেকেই এই আর্জেন্টাইনকে ‘বিশ্বের সেরা’ কোচ মানেন তিনি। ম্যাচের আগে বলেছিলেন, “বিশ্ব ফুটবলে তিনি সবচেয়ে নির্ভেজাল কোচ।”

কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতে বার্সেলোনায় ইয়োহান ক্রুইফের ফুটবল দর্শন রপ্ত করেছিলেন গুয়ার্দিওলা। আবার ডাগআউটে ক্যারিয়ার শুরুর আগে শিখতে বিয়েলসার শরণাপন্নও হয়েছিলেন তিনি। 

ইংল্যান্ডে দুজনের প্রথম মুখোমুখি হওয়া তাই বাড়তি আগ্রহের জন্ম দেয়। করোনাভাইরাসের কারণে মাঠে দর্শক না থাকলেও টিভি পর্দায় নিশ্চয় হতাশ হতে হয়নি তাদের। ম্যাচে দুই দল মিলে লক্ষ্যে শট নেয় ৩৫টি। যে কোনো দলই মাঠ ছাড়তে পারত জয় নিয়ে। তবে ড্র করায় আক্ষেপ নেই কোনো কোচেরই।

দর্শকদের ভালো একটা ম্যাচ উপহার দিতে পারায় খুশি তারা। বিয়েলসার দলের বিপক্ষে জয় সহজ কোনো ব্যাপার নয় বলে মনে করেন গুয়ার্দিওলা।

“ম্যাচটা দারুণ ছিল, তাই না? যখন উভয় দলই আক্রমণ করতে চায়, তখন ভালো লড়াই হয়। দলটিকে মোকাবেলা করা কঠিন, কারণ আমাদের মাঝমাঠের পেছনেই তাদের পাঁচজন ছিল এবং আমাদের রক্ষণে আক্রমণ করছিল। তারা দুর্দান্ত এক দল।”

“সবার জন্য এটা ছিল উপভোগ্য একটা ম্যাচ। আমি সেই সব ফুটবলারদের নিয়ে গর্বিত যারা ফুটবল উপভোগ করে এবং এই দেশে এসে অনেক বছর শীর্ষ পর্যায়ে খেলছে। আমরা বেশি কিছু করতে পারিনি, কারণ মার্সেলো বিয়েলসার সব দলের মত তারাও খুবই ভালো দল।”

ম্যাচের শুরুর দিকে রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে সিটি এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতা টানেন রদ্রিগো। বাকি সময়ে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল দুই দলই। তবে প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান রেখে বিয়েলসা বললেন, তার দলের জন্য এটাই ন্যায্য ফল।

“ম্যাচটি আমরা জিতলে তা ন্যায্য হতো না। ম্যাচটা জেতা সম্ভব ছিল, তবে তা ন্যায্য হতো না।”