লা লিগায় বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। আনসু ফাতির গোলে শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া বার্সেলোনার দ্বিতীয় গোলটি আসে প্রতিপক্ষের ভুলে। আর শেষ সময়ে স্কোরবোর্ডে নাম লেখান সের্হি রবের্তো।
সেল্তার মাঠে তাদের গত কয়েক মৌসুমের পারফরম্যান্স ভীষণ হতাশাজনক। লিগে এখানে আগের পাঁচ সফরে তিনটিতেই হেরেছিল কাতালান ক্লাবটি, বাকি দুটি ড্র। সবশেষ এখানে জিতেছিল ২০১৪-১৫ মৌসুমে। অসাধারণ পারফরম্যান্সে গেরো কাটাল দলটি।
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ফুটবলের স্বাভাবিক গতি কমে গেল, হলো ছন্দপতন। পাস বাড়াতে কিংবা বল পায়ে রাখতেই লড়াই করতে হচ্ছিল দু’দলের খেলোয়াড়দের। এরই মাঝে একাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
চার মিনিট বার্সেলোনার রক্ষণে ভীতি ছড়ায় সেল্তা। তবে ডান দিক থেকে গাব্রিয়েল ভেইগার গোলমুখে সতীর্থের উদ্দেশে বাড়ানো বল ঝাঁপিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন গোলরক্ষক নেতো।
৩৫তম মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বার্সেলোনা। প্রতি-আক্রমণে ওঠা দেনিস সুয়ারেসকে পেছন থেকে ফাউল করায় জেরার্দ পিকেকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। তবে বল ধরার ঠিক আগমুহূর্তে সুয়ারেস অফসাইডে থাকায় মাঠে রয়ে যান পিকে।
সিদ্ধান্তটি নিয়ে অসন্তোষ দেখা যায় বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের মাঝে। প্রতিবাদ করায় হলুদ কার্ড দেখেন পিকে। রেফারির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় অধিনায়ক মেসিকে।
প্রতিপক্ষে একজন কম থাকার সুযোগে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণে মনোযোগ বাড়ায় সেল্তা। তবে মেসির নৈপুণ্য ও সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় ৫১তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় সফরকারীরা। বল পায়ে দারুণ কারিকুরিতে ডি-বক্সে ঢুকে ছোট ডি-বক্সে মুখে সতীর্থের উদ্দেশে বল বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। কিন্তু ডিফেন্ডার লুকাস ওলাসার পায়ে লেগে দিক পাল্টে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ায়।
ব্যবধান বাড়ার সঙ্গে যেন আরও তেতে ওঠে বার্সেলোনা। তাদের একের পর এক আক্রমণের ধরন দেখে মনে হচ্ছিল না যে প্রতিপক্ষের চেয়ে এক জন কম নিয়ে খেলছে তারা। পরের ১০ মিনিটে বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগও তৈরি করে তারা, প্রতিবারই গোল মেলেনি একটুর জন্য।
৭৩তম মিনিটে গোল পেতে পারতো স্বাগতিকরা। নোলিতোর শট গোলরক্ষক নেতো ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর ফাঁকায় পেয়ে যান মিগুয়েল বায়েসা। তার শট বার্সেলোনার এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ক্রসবার ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়।
যোগ করা সময়ে রবের্তোর গোলে বড় জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে নামা বার্সেলোনা। মেসির নেওয়া শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর আলগা বল ফাঁকায় পেয়ে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন রাইট-ব্যাক রবের্তো।
দুই ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে তারপরেই আছে সেভিয়া।
তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে গেতাফে। সমান ৭ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে পরের তিনটি স্থানে আছে ভালেন্সিয়া, রিয়াল মাদ্রিদ ও ভিয়ারিয়াল। ভালেন্সিয়া ও ভিয়ারিয়াল অবশ্য একটি করে ম্যাচ বেশি খেলেছে।