উয়েফা বর্ষসেরা কোচ ফ্লিক

লিভারপুলের ইয়ুর্গেন ক্লপ ও লাইপজিগের ইউলিয়ান নাগেলসমানকে পেছনে ফেলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত আসরের সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের হান্স ফ্লিক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2020, 04:47 PM
Updated : 1 Oct 2020, 05:51 PM

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠানে সেরা কোচ হিসেবে ফ্লিকের নাম ঘোষণা করা হয়। গত আসরে বায়ার্নকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতান এই জার্মান কোচ।

সেরা ফরোয়ার্ড নির্বাচিত হয়েছেন বায়ার্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখা রবের্ত লেভানদোভস্কি। পেছনে ফেলেছেন রানার্সআপ পিএসজির নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপেকে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা ফরোয়ার্ড রবের্ত লেভানদোভস্কি।

সেরা মিডফিল্ডার হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডে ব্রুইনে। তিনি পেছনে ফেলেছেন বায়ার্নের টমাস মুলার ও থিয়াগো আলকান্তারাকে। মৌসুম শেষে থিয়াগো যোগ দিয়েছেন লিভারপুলে।

দুই ক্লাব সতীর্থ দাভিদ আলাবা ও আলফোনসো ডেভিসকে হারিয়ে সেরা ডিফেন্ডারের পুরস্কার পেয়েছেন বায়ার্নের জশুয়া কিমিচ।

আর সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন বায়ার্নের মানুয়েল নয়ার। এই জার্মান গোলরক্ষক পেছনে ফেলেছেন পিএসজির কেইলর নাভাস ও আতলেতিকো মাদ্রিদের ইয়ান ওবলাককে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছয় ম্যাচে জাল অক্ষত রাখেন নয়ার।

গত মৌসুমে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে অংশ নেওয়া ৮০ দলের কোচ (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৩২ দল ও ইউরোপা লিগের ৪৮ দল) ও ইউরোপিয়ান স্পোর্টস মিডিয়ার নির্ধারিত ৫৫ জন সাংবাদিকের ভোটে গত সপ্তাহে তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে উয়েফা।

দিদিয়ের দ্রগবার (ডানে) হাতে উয়েফা প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দের চেফেরিন।

গত ২৩ অগাস্ট লিসবনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপা জেতে বায়ার্ন।

ক্যারিয়ার জুড়ে অসাধারণ সাফল্য, চমৎকার ব্যক্তিত্ব ও ফুটবলের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছরের উয়েফা প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন দিদিয়ের দ্রগবা।

প্রথম নন-ইউরোপিয়ান ফুটবলার হিসেবে সম্মানজনক পুরস্কারটি জিতলেন ২০১১-১২ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা সাবেক তারকা এই ফুটবলার। সেই ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে সমতা টানার পর টাইব্রেকারে শেষ গোলটিও করেছিলেন কোত দি ভোয়ার এই ফরোয়ার্ড।