লা লিগায় শনিবার রাতে রিয়ালের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারে বেতিস। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর ২-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে গিয়েছিল তারা।
৬২তম মিনিটে লুকা ইয়োভিচ পেছন থেকে ফাউলের শিকার হলে ভিএআর দেখে বেতিসের এমেরসনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ৮২তম মিনিটে ফেদে ভালভেরদেকে ডি-বক্সে মার্ক বার্ত্রা ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। সের্হিও রামোস সফল স্পট কিকে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন।
প্রথমার্ধে রিয়ালকে একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা করে রাখা বেতিস একজন কম নিয়ে আর পেরে ওঠেনি। পরে আবার ওই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত। সব মিলে ভালো অবস্থায় থেকেও হারতে হওয়ায় ভিএআর নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ পেল বেতিস কোচের কণ্ঠে।
“রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচে যখন আপনি পেনাল্টি থেকে গোল খাবেন এবং ভিএআরের কারণে একজন লাল কার্ড পাবে, তখন লড়াই করাটা খুবই কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু ১১ বনাম ১১ জনে আমরা যেভাবে খেলেছি, দারুণ।”
হারের হতাশা, ভিএআরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি ২০০৯-১০ মৌসুমে রিয়ালের কোচ থাকা পেল্লেগ্রিনি।
“ইতিবাচক দিক হচ্ছে, আমি আগের চেয়ে অনেক বেশি নিশ্চিত…আমরা সঠিক পথে আছি। যখন মাঠে দুই দলেরই ১১ জন করে ছিল, আমরা রিয়ালের চেয়ে অনেক ভালো খেলেছিলাম।”
রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান অবশ্য ভিএআর নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। যা হয়েছে, ঠিক হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি।
“ম্যাচে একজন রেফারি থাকে এবং তার কাজ খেলা পর্যালোচনা করা। আমি মনে করি, আজ যা হয়েছে ঠিকই হয়েছে।”
“ম্যাচের দায়িত্বে থাকে রেফারি। আমি কখনই রেফারির কাজে জড়ায় না এবং আজও জড়াব না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা কিভাবে খেললাম। খুব কঠিন একটা মাঠে আমরা সবটুকু দিয়ে লড়েছি।”
গত মৌসুমে করোনাভাইরাস বিরতির পর রিয়ালের টানা জয়রথেও ভিএআর বিতর্ক বারবার সঙ্গী হয়েছিল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে ও ওই সময়ে দলটির কোচ কিকে সেতিয়েনসহ অনেকেই রিয়ালের ম্যাচে ভিএআরের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।