প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে লিগ ম্যাচে ৩-২ গোলে জেতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ফেদে ভালভেরদের গোলে এগিয়ে যাওয়া রিয়াল এইসা মান্দি ও উইলিয়াম কারবাইয়োর লক্ষভেদে পিছিয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের ভুলে সমতায় ফেরার পর পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেন অধিনায়ক সের্হিও রামোস।
শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছিল রিয়াল।
আর টানা দুই জয়ের পর হারল বেতিস। দলটির বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচে দুটিতে হেরেছিল রিয়াল, অন্যটি ড্র। গত মৌসুমে করোনাভাইরাস বিরতির আগের ম্যাচে বেতিসের বিপক্ষেই হেরেছিল তারা।
সপ্তম মিনিটে থিবো কোর্তোয়ার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় শিরোপাধারীরা। কর্নারে অরক্ষিত আন্তোনিও সানাবরিয়ার হেড দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
চতুর্দশ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় রিয়াল। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে ডান দিকের বাইলাইন থেকে ছয় গজ বক্সে বল বাড়ান বেনজেমা। আর প্রথম ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ভালভেরদে।
পরের মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণও হতে পারতো। কিন্তু ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশ করেন সের্হিও রামোস। পাঁচ মিনিট পর ডি-বক্সে ঢুকেই বেতিস ফরোয়ার্ড নাবিল ফেকিরের নেওয়া কোনাকুনি শটে বল পোস্টের পাশ দিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
প্রথম ২০ মিনিটে দুই-তৃতীয়াংশের কাছাকাছি সময় বল দখলে রাখা রিয়াল ধীরে ধীরে ছন্দ হারিয়ে ফেলে। তাদের ওপর চাপ বাড়ায় বেতিস। দ্রুত সাফল্যও পায় তারা; দুই মিনিটে দুবার জালে বল পাঠিয়ে এগিয়ে যায় তারা।
বেতিসের দ্বিতীয় গোলে কিছুটা দায় আছে গত মৌসুমে দুর্দান্ত খেলা কোর্তোয়ার। পর্তুগিজ মিডফিল্ডার উইলিয়াম কারবাইয়োর শট গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।
বিরতির আগে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন রামোস। ছোট ডি-বক্সের মুখে আয়ত্ত্বে বল পেয়েও দুর্বল হেডে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল পাঠান গত আসরে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে সমতায় ফেরে রিয়াল। বেনজেমার উদ্দেশে দানি কারভাহালের বাড়ানো পাস ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে ঠেলে দেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এমেরসন।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে চলা ম্যাচে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে আসে একটি ফাউলের ঘটনা। প্রতি-আক্রমণে ছুটে যাওয়া লুকা ইয়োভিচকে পেছন থেকে ফাউল করায় দীর্ঘক্ষণ ভিএআরে দেখে এমেরসনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
এক জন কম নিয়েও ছয় মিনিট পর এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পায় বেতিস। তবে কারবাইয়োর কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া।
শেষ দিকে খেলার গতি কমে আসে। বেতিস পারেনি আগের ছন্দ ধরে রাখতে। তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি রিয়ালও।
দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট ৪। বেতিসের সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে গ্রানাদা।