এবার ৪ বিদেশি খেলাতে চায় ক্লাবগুলো

চলতি মাসের শুরুতে ক্লাবগুলোই প্রস্তাব দিয়েছিল বিদেশি খেলোয়াড়দের ছাড়া নতুন মৌসুমের। তাতে স্থানীয়দের আরও বেশি সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল দারুণভাবে। কিন্তু হুট করে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে ক্লাবগুলো। ২০২০-২১ মৌসুমে চার জন বিদেশি খেলাতে চাইছে তারা; সম্মতি দিয়েছে পেশাদার লিগ কমিটিও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2020, 01:35 PM
Updated : 17 Sept 2020, 01:35 PM

গত মৌসুমের খেলোয়াড়দের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, নতুন চুক্তি, ভেন্যু, বিদেশি খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন, নতুন মৌসুম শুরুসহ অনেক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার বসেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পেশাদার ফুটবল লিগ কমিটি। সেখানেই অধিকাংশ ক্লাবের বিদেশি ফুটবলার খেলানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেয় লিগ কমিটি।

করোনাভাইরাসের থাবায় বাতিল হয়ে যাওয়া ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রতিটি ক্লাব পাঁচ জন করে বিদেশি খেলোয়াড় দলে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছিল। মহামারীর কারণে আর্থিক সমস্যা, যথাসময়ে বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওয়া যাবে কিনা-এইসব টানাপোড়েনে নতুন মৌসুমে বিদেশিদের ছাড়া খেলতে চাওয়ার কথা ক্লাবগুলো জানিয়েছিল গত ১ সেপ্টেম্বরের মিটিংয়ে। কিন্তু মাসের মাঝামাঝি এসে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছে তারা।

আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফেডারেশন কাপ দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু হবে বলে জানিয়েছে বাফুফে। তার আগেই শেষ হবে দলবদলের কার্যক্রম। বিদেশি খেলোয়াড় বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত আগামী ৩ অক্টোবর নির্বাহী কমিটিতে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তোলা হবে বলেও জানান লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

“বিদেশি খেলোয়াড় ইস্যুতে ক্লাবগুলোর লিখিত মতামত আমরা পেয়েছি। ১৩টি ক্লাবের মধ্যে সিংহভাগ ক্লাব মতামত দিয়েছে বিদেশি রাখার ব্যাপারে। দুটি ক্লাব মতামত দেয়নি। একটি ক্লাব আজকের মিটিংয়ে এসে মতামত দিয়েছে।”

“গতবার বাইলজে ছিল পাঁচ জন রেজিস্ট্রেশনের; তার মধ্যে চার জন খেলতে পারবে। এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে চার জন রেজিস্ট্রেশনের এবং প্রতি ম্যাচে চার জনকেই খেলার সুযোগ দেওয়ার।”

এএফসি কাপের জন্য বসুন্ধরা কিংস আগেই দলে টেনেছিল আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড এরনান বার্কোসকে। পরে দুই ব্রাজিলিয়ান রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো ও জোনাথন দি সিলভেইরা ফের্নান্দেসকে দলে ভেড়ায় তারা।

আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব, চট্টগ্রাম আবাহনীসহ অধিকাংশ দলেরই বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভরতা বেশি।