২০১২ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়ালে পাড়ি জমান মদ্রিচ। শৈশবের সেই দিনগুলোর মতো রিয়ালে নোঙর ফেলা প্রথম বছরের স্মৃতিও রোমন্থন করলেন পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এই মিডফিল্ডার; যেখানে হতাশার কথাই বেশি।
“আমার মান, খেলার ধরণ, শারীরিক গড়ন-এসব বিষয় নিয়ে চারপাশের মানুষের সবসময় সংশয় ছিল। তারা বলত যে, শীর্ষে পৌঁছানোর যথেষ্ট শক্তি নেই আমার। কিন্তু এগুলো আমাকে প্রভাবিত করত না; বরং আরও অনুপ্রাণিত করেছিল।”
“মনে আছে, রিয়ালে আমার আসার প্রথম বছরে একটা জরিপ হয়েছিল এবং তার ফল ভালো ছিল না। কিন্তু নিজের সম্ভাবনার উপর আমার বিশ্বাস ছিল। জানতাম, আমার পারফরম্যান্স একদিন দেখাবে যে আমি রিয়ালের খেলোয়াড় ছিলাম।”
সময় যত গড়িয়েছে, মদ্রিচ ততই নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। হয়ে উঠেছেন রিয়ালের মাঝমাঠের নির্ভরতার আরেক নাম। দুটি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ জিতেছেন আরও অনেক শিরোপা। ব্যক্তিগতভাবে ২০১৮ সালে জিতেছেন ব্যালন ডি’অর।
“আমার পজিশনে দাভিদ সিলভা, চাভি ও ইনিয়েস্তার মতো খেলোয়াড় ছিল। এই ধরনের খেলোয়াড় ছাড়া সাফল্য ঠিকমতো আসে না। কিন্তু আমি মনে করি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিচিতি আসে। কখনও কখনও মানুষের এটা বুঝতে সময় লাগে। আমি ব্যালন ডি’অর ও উয়েফার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলাম এবং শেষ পর্যন্ত মানুষেরও উপলব্ধি হলো।”
মাদ্রিদের দলটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আছে আর মাত্র এক বছর। নিজের বয়সও ৩৪ বছর হয়ে যাওয়ায় আপাতত ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় পরিকল্পনা নেই তার। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারলেই খুশি মদ্রিচ। অবশ্য বিকল্প পথও ভেবে রাখছেন তিনি।
“এই বয়সে বড় পরিকল্পনা করা যায় না। রিয়ালে আমার আরেকটা মৌসুম বাকি আছে এবং কিছু জয়ের জন্য আমি সবটুকু দিতে চাই। রিয়ালে ক্যারিয়ার শেষ করতে পারলে দারুণ হবে। কিন্তু এটা আমার সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয়; রিয়ালের।”
“খুব বেশি খেলোয়াড় রিয়ালে তাদের ক্যারিয়ারের শেষটা টানতে পারেনি। খুব কম সংখ্যকই পেরেছে। কিন্তু আমি আরও কয়েক বছর খেলতে চাই। দেখাতে চাই, আমি ভালো খেলতে পারি। যদি সেটা মাদ্রিদে না হয়, তাহলে আমি অন্য পথ খুঁজব।”