শিরোপা ধরে রাখার মিশনে দুর্দান্ত শুরু পর্তুগালের

চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলল পর্তুগাল। দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবলে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর অভাব বুঝতেই দিল না দলের বাকিরা। ক্রোয়েশিয়াকে উড়িয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে দুর্দান্ত শুরু করল ফের্নান্দো সান্তোসের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2020, 08:39 PM
Updated : 5 Sept 2020, 09:36 PM

পোর্তোর ড্রাগন স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে ‘এ’ লিগের তিন নম্বর গ্রুপের ম্যাচে ৪-১ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। জোয়াও কানসেলোর গোলে দলটি এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়োগো জোতা। তাদের অন্য দুই গোলদাতা জোয়াও ফেলিক্স ও আন্দ্রে সিলভা। ক্রোয়েশিয়ার একমাত্র গোলটি ব্রুনো পেতকোভিচের।

পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশে ২৭টি শট নিয়েছে পর্তুগাল, যার মধ্যে ১১টি ছিল লক্ষ্যে। তিনটি শট বাধা পায় পোস্টে। অন্যদিকে, বেশিরভাগ সময় নিজেদের ঘর সামলাতে ব্যস্ত থাকা ক্রেয়েশিয়ার পাঁচ শটের মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। 

একটানা আক্রমণ করে যাওয়া পর্তুগাল এগিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সুযোগ তৈরি করেছে অনেক। কিন্তু দুর্ভাগ্য কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না তাদের। ক্রোয়াট গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচও ছিলেন বড় বাধা বাধা হয়ে।

১৯তম মিনিটে কানসেলোর জোরালো শট পাঞ্চ করে ফেরান লিভাকোভিচ। চার মিনিট পর ফেলিক্সের শট পোস্টে বাধা পায়। ২৫তম মিনিটে ডাবল-সেভ করে জাল অক্ষত রাখেন দিনামো জাগরেবের এই গোলরক্ষক।

২৭তম মিনিটে জোতার হেডও পোস্টে বাধা পায়। ছয় মিনিট পর তৃতীয়বারের মতো পর্তুগালের প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ব্যর্থ হয়; রাফায়েল গেররেরোর শট পোস্টে লেগে ফেরার পর বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক।

অবশেষে ৪১তম মিনিটে সাফল্য মেলে। বাঁ দিক দিয়ে বল পায়ে কিছুটা আড়াআড়ি গিয়ে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার কানসেলো।

৫৮তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জোতা। গেররেরোর উঁচু করে বাড়ানো বল বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জায়গা বানিয়ে নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের এই ফরোয়ার্ড।

৭০তম মিনিটে ফেলিক্সের গোলে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিকদের। বের্নার্দো সিলভার পাস ধরে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জোরালো শটে বল জালে পাঠান আতলেতিকো মাদ্রিদের তরুণ এই ফরোয়ার্ড। শুরু থেকে দারুণ খেলা লিভারকোভিচ এই গোলের জন্য নিজেকে একটু দায় দিতেই পারেন। শরীর থেকে বল খুব বেশি দূরে ছিল না, কিন্তু তার হাতে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায় বল।

যোগ করা সময়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করে পেতকোভিচ। আন্তে রেবিচের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

তিন মিনিট পরেই অবশ্য ব্যবধান ফের তিন গোলে বাড়িয়ে নেন সিলভা। পেপের হেডে গোলমুখে বাড়ানো বল পড়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে টোকা দিয়ে জালে পাঠান আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের এই ফরোয়ার্ড।

একই সময়ে শুরু হওয়া গ্রুপের আরেক ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপের একমাত্র গোলে সুইডেনের মাঠে জিতেছে ফ্রান্স।