বার্সা প্রেসিডেন্ট কথা রাখেননি: মেসি

ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের কড়া সমালোচনা করেছেন সিদ্ধান্ত বদল করে বার্সেলোনায় থেকে যাওয়া লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ দলটির অধিনায়ক অভিযোগ করেছেন, বার্তোমেউ কথা রাখেননি। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2020, 06:17 PM
Updated : 4 Sept 2020, 07:55 PM

গোল ডটকমকে শুক্রবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০২০-২১ মৌসুমে বার্সেলোনায় থাকার বিষয়টি নিজেই জানান মেসি।

এ সময়ে আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেন মেসি। জানান, বরাবরই তাকে বার্তোমেউ বলে আসছিলেন, মৌসুম শেষে দলে থাকা না থাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত একান্তই তার। 

“প্রেসিডেন্টসহ ক্লাবকে বলেছিলাম, আমি যেতে চাই। তাকে সারা বছর আমি এটা বলে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, সরে যাওয়ার এটাই সময়।”

“আমার বিশ্বাস, ক্লাবের আরও তরুণ ফুটবলার, নতুন ফুটবলার দরকার এবং আমার ধারণা, বার্সেলোনায় আমার সময় শেষ। আমি খুব ব্যথিত ছিলাম, কারণ আমি সবসময় বলে এসেছি যে এখানেই আমি আমার ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই।”

“সারা বছর আমি প্রেসিডেন্টকে বলে এসেছি যে আমি চলে যেতে চাই, ক্যারিয়ারের নতুন লক্ষ্য ঠিক করার এবং নতুন পথে যাওয়ার সময় এসেছে। তিনি সব সময় বলেছেন, ‘আমরা পরে কথা বলব, এখন না; এটা-সেটা’ কিন্তু বলেননি। প্রেসিডেন্ট আসলেই কী বলেছেন তা আমাকে পরিষ্কার করেননি।”

বছরটা বাজে কেটেছে বার্সেলোনার। ১২ বছর পর ট্রফি শূন্য মৌসুম কেটেছে দলটির। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে মেসিদের। ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড জানালেন, দল ছাড়ার তাগিদটা অনুভব করেছিলেন ভেতর থেকেই।

“বছরটা ছিল খুবই কঠিন। অনুশীলনে, ম্যাচে এবং ড্রেসিংরুমে আমি প্রচুর ভুগেছি। সবকিছুই আমার জন্যে ছিল কঠিন। এরপর একটা সময় আসে যখন আমি নতুন লক্ষ্য স্থির করি।”

“আমি এটা প্রেসিডেন্টকে বলেছিলাম, আর প্রেসিডেন্ট সবসময় বলেছেন যে আমি থাকব নাকি যাব, এ বিষয়ে মৌসুম শেষে সিদ্ধান্ত নিতে পারব এবং শেষ পর্যন্ত তিনি কথা রাখেননি।”

গত ২৫ অগাস্ট আর্জেন্টাইন তারকার ফ্যাক্স বার্তা ঝড় তোলে ফুটবল বিশ্বে। চুক্তির একটি ধারা কার্যকর করে ফ্রি ট্রান্সফারে কাম্প নউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান বার্সেলোনা অধিনায়ক। তবে কাতালুনিয়ার ক্লাবটির দাবি, ওই ধারা কার্যকর করার মেয়াদ গত ১০ জুনে শেষ হয়ে গেছে। ফলে চুক্তি অনুযায়ী হয় তাকে থাকতে হবে ২০২০-২১ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত, নয়তো পরিশোধ করতে হবে রিলিজ ক্লজের পুরো ৭০ কোটি ইউরো।

শেষ পর্যন্ত দলের সঙ্গে আইনী লড়াইয়ে যেতে যাননি বলে, মন বদল করে আরেক মৌসুম থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি।