বার্সেলোনায় ছয় বছরের সফল অধ্যায় শেষে লা লিগার আরেক দল সেভিয়ায় ফিরে গেছেন রাকিতিচ। কাম্প নউয়ের অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত সঙ্গী হয়েছে তার। জিতেছেন চারটি করে লা লিগা ও কোপা দেল রে এবং একটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপসহ মোট ১৩টি শিরোপা।
সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ী বক্তব্যে বুধবার সেই সব দিনগুলোকে স্মরণ করলেন রাকিতিচ। বার্সেলোনার প্রতি প্রকাশ করলেন কৃতজ্ঞতা। সতীর্থ, কোচ, স্টাফ, ম্যানেজার, সমর্থক সকলকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি ৩২ বছর বয়সী এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।
তার বিদায়ী বক্তব্যের বিশেষ অংশগুলো তুলে ধরা হলো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্যে।
সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত
বার্সেলোনায় সেরা সময়
“গত কয়েকটি মৌসুমে আমরা ২০১৫ সালের সাফল্যের পুনরাবৃত্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম। কখনও কখনও ছোটখাটো বিষয় কিংবা একটু ভাগ্যের ছোঁয়া আমরা হাসব নাকি হাসব না এর মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল।“
সেরা সতীর্থ
বার্সেলোনার বর্তমান অবস্থা
“বার্সার গুরুত্ব কমে গেছে? আমি তা মনে করি না। আমি অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছি, যেমন আমার সতীর্থরা এবং তারা সবাই বার্সার প্রশংসা করে। আমার মতে, বিশ্বের সব খেলোয়াড়দের পছন্দমতো বেছে নেওয়ার জন্য প্রথম ক্লাব সবসময়ই বার্সা। এটা বিশ্বের সেরা ক্লাব।”
“এখানে যা কিছু ঘটবে, তার সব আমি অনুসরণ করব এবং আমার বিশ্বাস, বার্সা আবারও অনেক শিরোপা জিতবে।”
বিশেষ কোনো স্মৃতি
“আমরা খেলোয়াড়েরা সবসময় চাই মাঠে আমাদের সম্ভাব্য সেরাটা দিতে। লড়াই করতে। এবং আমার দিক থেকে প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতির অভাব কখনও ছিল না। আমি দিনের ২৪ ঘণ্টা ফুটবল নিয়েই থাকি।”
বার্সায় বিশেষ কোনো ছাপ
ড্রেসিংরুমের বিশেষ ব্যক্তি
“আমার সতীর্থ, কোচ, ম্যানেজার ও সমর্থকদের পাশাপাশি বিশেষ একজনকে বিদায় জানাতে চাই, হুয়ান কার্লোস উনসুয়ে (সহকারী কোচ, ২০১৪-১৭)। ড্রেসিংরুমের জন্য তিনি ছিলেন বিশেষ ব্যক্তি।”
সেভিয়ায় ভবিষ্যৎ
“বার্সার বিপক্ষে যদি কখনও গোল করি তাহলে, উদযাপন করব না। বার্সাকে আমি আমার হৃদয়ে ধারণ করব।”