গত মঙ্গলবার এক ফ্যাক্স বার্তায় মেসি বার্সেলোনাকে জানান, এই গ্রীষ্মেই ক্লাব ছাড়তে চান তিনি। চুক্তি অনুযায়ী, নতুন মৌসুম শুরুর আগে ১০ জুনের মধ্যে দলবদলের সিদ্ধান্তের কথা জানালে বিনা ফিতে যেতে পারবেন অনেকের মতে সময়ের সেরা এই ফুটবলার। কার্যত যে সময় পেরিয়ে গেছে অনেক আগে।
তবে মেসির আইনজীবির মতে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন সব ধরনের প্রতিযোগিতা স্থগিত থাকায় এবং মৌসুম দীর্ঘ হওয়ায় এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। গত ২৩ অগাস্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ২০১৯-২০ মৌসুম। এর দুই দিন পরই খেলোয়াড় তার সিদ্ধান্ত জানানোয় চুক্তির ওই ধারা কার্যকর আছে।
দু’পক্ষই তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় এবং এর প্রেক্ষিতে নানা উড়ো খবর আসতে থাকায় পুরো বিষয়টি ঘিরে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এর মাঝে স্পেনের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, হাসিমুখে বিদায় নিতে ক্লাবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। তবে, বার্সেলোনার পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব নাকি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন মৌসুম শুরুর আগে অনুশীলন শুরুর লক্ষ্যে রোববার ছিল খেলোয়াড়দের কোভিড-১৯ পরীক্ষার দিন। সংবাদমাধ্যমের খবর মতে, স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১০টায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানোর জন্য ক্লাবের অনুশীলন মাঠে আসার কথা ছিল মেসির। কিন্তু আসেননি তিনি।
এর মধ্যে দিয়ে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যায়, এতদিনের ঠিকানা কাম্প নউয়ে আর কিছুতেই থাকতে চাচ্ছেন না তিনি।