লিভারপুলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড আর্সেনালের

শুরুতে এগিয়ে গেলো আর্সেনাল। পরে বদলি খেলোয়াড়ের গোলে সমতা ফেরাল লিভারপুল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের লড়াই সমতায় শেষের পর ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। ভাগ্য পরীক্ষায় ৫-৪ গোলে লিভারপুলকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জিতল আর্সেনাল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2020, 05:43 PM
Updated : 29 August 2020, 06:12 PM

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হয়।

টাইব্রেকারে আর্সেনালের রিস নেলসন, এইন্সলে মেইটল্যান্ড-নাইলস, সেডরিক সোরেস, দাভিদ লুইস ও পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং লক্ষ্যভেদ করেন। লিভারপুলের মোহমেদ সালাহ, ফাবিনিয়ো, তাকুমি মিনামিনো ও কার্টিস জোন্স লক্ষ্যভেদ করেন; ক্রসবারে মেরে ব্যর্থ হন রিয়ান ব্রিস্টার।

কমিউনিটি শিল্ডে আগে তিন মুখোমুখিতে দুইবার লিভারপুল (১৯৭৯ ও ১৯৮৯) জিতেছিল। আর্সেনাল জিতেছিল একবার (২০০২)।

লিগ চ্যাম্পিয়ন ও এফ এ কাপে চ্যাম্পিয়ন মুখোমুখি হয় কমিউনিটি শিল্ডে। এই প্রতিযোগিতায় রেকর্ড ২১টি শিরোপা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ১৬ শিরোপা নিয়ে তালিকায় এককভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো আর্সেনাল। ১৫ ট্রফি নিয়ে তৃতীয় লিভারপুল।

শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে আর্সেনালের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। সপ্তম মিনিটে সতীর্থের ফ্রি কিকে পা ছুঁইয়ে জালে বল জড়িয়েছিলেন দলটির ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল হয়নি।

দ্বাদশ মিনিটে পাওয়া প্রথম সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন আর্সেনাল। বাঁ দিক থেকে বুকায়ো সাকার বাড়ানো ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একটু এগিয়ে ডান পায়ের দারুণ শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন অবামেয়াং।

দ্বিতীয়ার্ধেও আর্সেনালের গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারছিল না প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নরা। রবের্ত ফিরমিনো-মোহামেদ সালাহ-সাদিও মানেকে নিয়ে সাজানো আক্রমণভাগে ছিল না চেনা ধার।

ফিরমিনোর শট পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর ৫৬তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করেন মানে। সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষকের গায়ে মারেন সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড।

৭৩তম মিনিটে সমতার স্বস্তি ফেরে লিভারপুল শিবিরে। ডি-বক্সের জটলার মধ্য আর্সেনালের এক জনের হাতে বল লাগার পর পেয়ে যান মিনামিনো; গোল মুখ থেকে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন জাপানের এই ফরোয়ার্ড। ভিএআর দেখলেও হ্যান্ডবল না দিয়ে গোলের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন রেফারি।

সাত মিনিট পর সতীর্থের বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে হাঁটুর টোকায় এগিয়ে নিলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি মানে। দ্রুত ছুটে এসে তার পথ আটকে দেন গোলরক্ষক মার্তিনেস।

বাকিটা সময় কেউ জয়সূচক গোল না পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। লিভারপুলের ব্রিস্টারের শট ক্রসবার লেগে বাইরে চলে যায়। এটাই ব্যবধান গড়ে দেয় দুই দলের মাঝে।