‘ঘরের’ মাঠে খেলার অনুভূতি দি মারিয়ার

ইউরোপে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন যে মাঠে সেখানেই আরেকটি ফাইনালের আগে পুরনো দিনের স্মৃতি ভিড় করছে আনহেল দি মারিয়ার মনে। পিএসজির এই মিডফিল্ডারের মনে হচ্ছে যেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ অংশ খেলছেন ঘরের মাঠেই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2020, 10:40 AM
Updated : 22 August 2020, 07:29 PM

আর্জেন্টিনার রোসারিও সেন্ট্রাল ছেড়ে ২০০৭ সালে পতুর্গালের দল বেনফিকায় যোগ দেন দি মারিয়া। তিন বছর ছিলেন লিসবনের দলটিতে। ২০১০ সালে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২০১৩-১৪ আসরের ফাইনালে বেনফিকার মাঠেই আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ‘লা দেসিমা’ জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি।

বিশ্বব্যাপী কোভিগ-১৯ মহামারীর কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট দল নিয়ে এক লেগের ‘মিনি-টুর্নামেন্ট’ আয়োজনের জন্য পর্তুগালের রাজধানী লিসবনকে বেছে নেয় উয়েফা। তখন থেকেই অন্যরকম এক অনূভূতি বাসা বাঁধে দি মারিয়ার মধ্যে।

কার্ডের খাড়ায় পড়ে আতালান্তার বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলতে পারেননি দি মারিয়া। সেমি-ফাইনালে ফিরেই ছিলেন দলের জয়ের নায়ক। লাইপজিগের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের জয়ে করেন একটি গোল, অবদান রাখেন অন্য দুই গোলে। 

একই মাঠে আরেকটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় তার দলের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচকে সামনে রেখে শুক্রবার উয়েফাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন দি মারিয়া।  

“যখন তারা ভেন্যু পাল্টে লিসবনে নিয়ে গেল, তখন আমার মধ্যে একটা অদ্ভুত অনূভূতি হয়েছিল এবং আমাকে পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল। এখানে আমি তিন বছর ছিলাম এবং লিসবনে কত সুখেই না ছিলাম সেই সময়টায়।”

পিএসজির ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল স্মৃতিবিজড়িত আঙিনাতেই খেলবেন বলে একটু বেশিই আপ্লুত দি মারিয়া।

“প্যারিসের মতো ক্লাবের হয়ে ইতিহাস গড়ে তাদের প্রথম ফাইনালে উঠতে পেরে আমি আবেগাপ্লুত…তাছাড়া এই মাঠেই ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলাম।”

দি মারিয়া জানেন শেষ আটে বার্সেলোনাকে ৮-২ ও সেমি-ফাইনালে অলিম্পিক লিওঁকে ৩-০ গোলে হারানো বায়ার্নের বিপক্ষে কাজটা সহজ হবে না। তবে নিজের দলের ওপরে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের অগাধ আস্থা।

“কঠিন প্রতিপক্ষ তারা। তারা খুবই সু-সংগঠিত একটা দল এবং আমার মনে হয়, এটা হবে তাদের একাদশ ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনাল।”

“আমরা জানি, তাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় রয়েছে যারা আছে দুর্দান্ত ফর্মে। তবে আমাদেরও ভালো খেলোয়াড় আছে, নিজস্ব ঘরানা আছে। আমার মনে হয়, আমাদের দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা প্রাপ্য।”

২০১৪ সালে রিয়ালের দশম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয় ছিল ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত। দি মারিয়া বললেন, পিএসজির প্রথম এই শিরোপা জয়ে সহায়তা করাও তার কাছে তেমনি এক মুহূর্ত হবে।

“দশম ওই শিরোপা জয় ছিল মাদ্রিদের জন্য বিশেষ কিছু এবং আমি ক্লাবটির ইতিহাসের অংশ হতে পেরেছিলাম। এখানে প্রথম শিরোপা জয়টাও ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য হবে স্মরণীয়, কারণ এখানে যোগ দেওয়ার পর এটাই আমার লক্ষ্য।”