পরিসংখ্যানের আলোয় ফাইনালের আগের রোমাঞ্চ

নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে শেষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসর। শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজি। ফাইনালের রোমাঞ্চের আগে আসরের নানা পরিসংখ্যানের ডালি সাজিয়েছে উয়েফা ডটকম। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো তা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2020, 12:48 PM
Updated : 22 August 2020, 01:35 PM

- চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে এক অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চার গোল করার কীর্তি গড়েছেন আতালান্তার ইয়োসিপ ইলিসিচ। শেষ ষোলোয় ভালেন্সিয়ার মাঠে দলের ৪-৩ ব্যবধানের জয়ে সবগুলো গোল করেন তিনি।

-আর্লিং হলান্ড প্রথম টিনএজার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড গড়েন। গ্রুপ পর্বে মোট আট গোল করেন ওই সময় সালসবুর্কে খেলা এই ফরোয়ার্ড।

-গ্রুপ পর্বে আয়াক্সের সঙ্গে চেলসির ৪-৪ ড্র ম্যাচটি প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে ফল নিষ্পত্তি না হওয়ার হিসাবে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলের ম্যাচ।

৮-২-বার্সেলোনাকে কোয়ার্টার-ফাইনালে ৮-২ গোলে উড়িয়ে দেয় বায়ার্ন মিউনিখ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এটি নকআউট পর্বে সর্বোচ্চ গোলের ম্যাচ। ইউরোপিয়ান ম্যাচে বার্সেলোনারও প্রথমবারের মতো ছয় বা তার বেশি গোল খাওয়ার ঘটনা।

১০-চলতি আসরে এরই মধ্যে রেকর্ড ১০টি হ্যাটট্রিক হয়েছে। এর মধ্যে সের্গে জিনাব্রি, লেভানদোভস্কি ও ইলিসিচ এক ম্যাচে চার গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।

১০-চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এ পর্যন্ত বায়ার্ন মিউনিখ ১০ ম্যাচের সবগুলোতে জিতে ২০১২-১৩ থেকে ২০১৩-১৪ মৌসুমে নিজেদের টানা সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড ছুঁয়েছে। ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৪-১৫ মৌসুমেও একই সংখ্যক টানা জয় পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ।

১০-অলিম্পিক লিওঁর কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে যায় ইউভেন্তুস। ফলে ১০ মৌসুমের মধ্যে এই প্রথম কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলতে পারলেন না ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।

১১-এসি মিলানের ১১ বার ফাইনাল খেলার কীর্তি ছুঁতে যাচ্ছে বায়ার্ন। তাদের চেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল রিয়াল মাদ্রিদের (১৬ বার)। শিরোপা জয়ের তালিকাতেও শীর্ষে রিয়াল (১৩টি)।

১২-ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে রিয়াল মাদ্রিদ ছিটকে যাওয়ায় দলটির কোচ জিনেদিন জিদানের নকআউট পর্বে টানা জয়ের রেকর্ড যাত্রাও থেমেছে।

১৩-টানা ১৩ মৌসুমে টেবিলে শীর্ষে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করে বার্সেলোনা। টানা ত্রয়োদশ বারের মতো কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার কীর্তিও গড়েছে কাতালুনিয়ার দলটি।

১৫-আসরে এখন পর্যন্ত ১৫ গোল করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের রবের্ত লেভানদোভস্কি। এক মৌসুমে (২০১৩-১৪) ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর করা ১৭ গোলের রেকর্ড থেকে মাত্র দুই গোল দুরে আছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা নয় ম্যাচে গোল করেছেন লেভানদোভস্কি, এখানেও রোনালদোর গড়া রেকর্ডের (১১টি) চেয়ে দুটি কম।

১৫-লিওনেল মেসি ও করিম বেনজেমা দুজনে চলতি মৌসুমে গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে টানা ১৫ আসরে লক্ষ্যভেদের রেকর্ড গড়েছেন।

১৭-প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর ১৭ বছরের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে গ্রুপ পর্ব পেরুয় আতালান্তা। স্পর্শ করে ২০০২-০৩ সালে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের গড়া অর্জনকে।

১৭-চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে গোলের রেকর্ড আনসু ফাতির। গত ডিসেম্বরে ইন্টার মিলানের মাঠে বার্সেলোনার ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করার সময় বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ডের বয়স ছিল ১৭ বছর ৪০ দিন।

২৩-এ নিয়ে টানা ২৩ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলল রিয়াল মাদ্রিদ। টানা ২৩বার নকআউট পর্বে খেলার কৃতিত্বও দেখিয়েছে তারা।

৩২-সবচেয়ে কম বয়সী কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে জয়ের রেকর্ড লাইপজিগের ইউলিয়ান নাগেলসমানের। শেষ ষেলোয় টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে জেতা ম্যাচে রেকর্ডটি গড়েন তিনি।

৩৪-চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের শেষ ৩৪ ম্যাচের প্রতিটিতে গোল করেছে পিএসজি। স্পর্শ করেছে ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে রিয়ালের গড়া রেকর্ড।

৪২-গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ধাপ শেষ ষোলো হওয়ার পরের হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক আসরে (ফাইনালের আগ পর্যন্ত) বায়ার্ন মিউনিখ এবার ৪২ গোল করেছে, ম্যাচ প্রতি রেকর্ড ৪ দশমিক ২ গোল।

৩০৮-এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে হয়েছে ৩০৮টি গোল। ‘বি’ গ্রুপেই গোল হয়েছিল ৫৩টি।

৪২৬-বাছাইপর্ব শুরুর দিন থেকে হিসেবে ৪২৬ দিন পর হচ্ছে এবারের আসরের ফাইনাল।