লিসবনে বুধবার রাতে লিওঁকে ৩-০ গোলে হারিয়ে একাদশবারের মতো ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠে বায়ার্ন। জিনাব্রির জোড়া গোলের পর শেষ দিকে জালের দেখা পান রবের্ত লেভানদোভস্কি।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ পায় লিওঁ। তবে ডি-বক্সে একমাত্র বাধা গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করতে পারেনি মেমফিস ডিপাই। চাপ ধরে রাখা দলটি ১৭তম মিনিটে গোল পায়নি ভাগ্য পাশে না থাকায়; কার্ল তোকো একাম্বির খুব কাছ থেকে নেওয়া শট নয়ারকে ফাঁকি দিলেও পোস্টের বাধা এড়াতে পারেনি। ৫৮তম মিনিটে আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
লিওঁর প্রথম দিকের সেই আক্রমণগুলো থেকে ভাগ্যের কারণেই রক্ষা পেয়েছে বায়ার্ন-ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন ফ্লিক।
“ম্যাচটি ছিল দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং আমরা জানতাম, এমনই হবে। লিওঁ দারুণ খেলেছে, আমাদের চাপে রেখেছে। আমরা রক্ষা পেয়েছি কিছুটা ভাগ্যের জোরে, বিশেষ করে প্রথম দিকে।”
শুরুর সেই ধাক্কার পর ১৮তম মিনিটে জিনাব্রির অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। মাঝমাঠ থেকে লম্বা পাস ধরে প্রতিপক্ষের কয়েক জন খেলোয়াড়ের মধ্যে দিয়ে আড়াআড়ি ছুটে গিয়ে ডি-বক্সের মুখ থেকে বুলেট গতির শটে গোলটি করেন জার্মান মিডফিল্ডার। ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯ ম্যাচে জিনাব্রির গোল হলো ৯টি।
ম্যাচ জুড়ে আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি করা জিনাব্রির পারফরম্যান্সে মুগ্ধ কোচ ফ্লিক।
“সের্গের একার পারফরম্যান্স আমাদের চাপ কমিয়ে দিয়েছে। অমন কঠিন অবস্থায় ১-০ তে এগিয়ে যাওয়া ছিল অসাধারণ। তার ফিনিশিং ও ছুটে যাওয়া ছিল অসাধারণ।
ফাইনালে জায়গা করে নিলেও ম্যাচ জুড়ে বায়ার্নের রক্ষণের দুর্বলতা ফুটে উঠেছে বারবার, ফ্লিক নিজেও তা মানছেন। ফাইনালে এই জায়গায় উন্নতি করতে না পারলে নেইমার-কিলিয়ান এমবাপেদের বিপক্ষে চড়া মাশুল দিতে হতে পারে দলটির। তবে ভুল শুধরে পিএসজির বিপক্ষে সর্বোচ্চটা দিতে দল প্রস্তুত বলে জানান ফ্লিক।
“এটা পরিষ্কার যে আমাদের রক্ষণ সবসময়ের মতো ভালো ছিল না। এখন দৃষ্টি পিএসজির দিকে। আগামী ম্যাচে আমরা সবটুক উজাড় করে দিতে চাই।”
আগামী রোববার লিসবনে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা পিএসজির বিপক্ষে লড়াইয়ে নামবে বায়ার্ন।