ইউরোপিয়ান শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতাটির শেষ চারে ওঠার পথে শেষ ষোলোয় সেরি আ চ্যাম্পিয়ন ইউভেন্তুস এবং শেষ আটে প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটিকে হারায় লিওঁ।
প্রথমবারের মতো ফাইনালে যেতে হলে এবার পেরুতে হবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বায়ার্ন বাধা। যারা শেষ চারে উঠেছে বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করে। শেষ ষোলোয় দুই লেগ মিলে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা চেলসিকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৭-১ গোলে।
বায়ার্নের এমন ফর্ম নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন লিওঁ কোচ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দেখা মিলল আত্মবিশ্বাসে ভরপুর কোচ গার্সিয়ার।
“প্রিমিয়ার লিগে সিটি একশর বেশি গোল (১০২) করেছে। তাই কেবল পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়েই যদি হাল ছেড়ে দেই, তাহলে তো আমরা হোটেলে বসেই খেলাটা দেখতে পারি এবং বায়ার্ন একাই খেলতে পারে।”
১০ বছর আগে সেমি-ফাইনালে দুই লেগ মিলে বায়ার্নের কাছে ৪-০ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছিল লিওঁ। তবে এবার দলের ভালো সুযোগ দেখছেন গার্সিয়া।
“তাদের খুব বেশি দুর্বল জায়গা নেই, তবে কোনো দলই নিখুঁত নয়।”
“আমরা আন্ডারডগ হতে পারি, কিন্তু বড় দলগুলোকে হারিয়েই আমরা এখানে এসেছি। তাই অন্যরাও এখন আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া শুরু করতে পারে।”
“হতে পারে আমাদের বিপক্ষে জেতাটা বড় পর্বত পার হওয়ার মতো নয়, তবে জুতোর মধ্যে ছোট্ট একটি নুড়ি পাথর ঢুকলেও পাহাড় চড়ায় বাধা হতে পারে।”
দলের কেউ চোটাক্রান্ত না হওয়ায় পুরো স্কোয়াডকেই পাচ্ছেন গার্সিয়া। আর তাই, সিটির বিপক্ষে ম্যাচটি মাত্র চার দিন আগে হওয়ার পরও কোনো সমস্যা দেখছেন না তিনি।
“পাঁচ জন বদলি নামানোর সুযোগ থাকায় প্রয়োজনে আমরা অর্ধেক দলই পাল্টে নিতে পারি। তাই কোনো সমস্যা নেই।”
“আমরা যে কোনো দলের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারি।”
এই ম্যাচের বিজয়ীরা ফাইনালে খেলবে পিএসজির বিপক্ষে। প্রথম সেমি-ফাইনালে মঙ্গলবার লাইপজিগকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত ফাইনালে জায়গা করে নেয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।