লিসবনে মঙ্গলবার রাতে প্রথম সেমি-ফাইনালে ৩-০ গোলে জিতেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জয়ের নায়ক আনহেল দি মারিয়া। গোল করার সঙ্গে অবদান রাখেন মার্কিনিয়োস ও হুয়ান বের্নাতের গোলে।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বুধবার মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও অলিম্পিক লিওঁ। এই ম্যাচের বিজয়ীর বিপক্ষে আগামী রোববার শিরোপা লড়াইয়ে নামবে টমাস টুখেলের দল।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পায় পিএসজি। কিলিয়ান এমবাপের দারুণ পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পান নেইমার। সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও পোস্টের বাধা এড়াতে পারেনি।
ত্রয়োদশ মিনিটে দি মারিয়ার ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন মার্কিনিয়োস। শেষ আটে আতালান্তার বিপক্ষে হারতে বসা ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের গোলেই সমতায় ফিরেছিল পিএসজি।
পিছিয়ে পড়ে যেন তেতে ওঠে শেষ ষোলোয় টটেনহ্যাম হটস্পার ও কোয়ার্টার-ফাইনালে আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারানো লাইপজিগ। পাল্টা আক্রমণে মাঝেমধ্যেই ভীতি ছড়াতে থাকে তারা; যদিও গোলরক্ষক সের্হিও রিকোকে কঠিন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারছিল না।
৪২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের সীমানায় লাইপজিগ বল হারালে সতীর্থের পা ঘুরে ডি-বক্সে পান নেইমার। প্রথম ছোঁয়ায় ফ্লিকে পেনাল্টি স্পটের কাছে বল বাড়ান তিনি আর ঠাণ্ডা মাথায় বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন দি মারিয়া।
তিন মিনিট পর ব্যবধান বাড়িয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারতো পিএসজি। কিন্তু এমবাপের পাস দারুণ পজিশনে পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার নেইমার; তার শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
বিরতির পর বেশ খানিকটা সময় পিএসজির রক্ষণে চাপ ধরে রাখে মাত্র ১১ বছর আগে ফুটবলে পথচলা শুরু করা দলটি। সুযোগও পেয়েছিল তারা, কিন্তু সাফল্য মেলেনি। প্রতিপক্ষকেও পারেনি আটকে রাখতে।
তিন গোলে পিছিয়ে পড়লেও হতাশায় ভেঙে পড়েনি লাইপজিগ। বলতে গেলে সমান তালেই আক্রমণ করতে থাকে তারা। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় যদিও নিশ্চিত সুযোগ খুব একটা তৈরি করতে পারেনি দলটি।
এদিক থেকে বেশ এগিয়ে ছিল পিএসজি। দুই মিনিটের ব্যবধানে ভালো দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এমবাপে। শেষ ১০ মিনিটে আবারও নেইমার ও মার্কো ভেরাত্তি একটি করে সুযোগ নষ্ট করায় ব্যবধান বাড়েনি।
অবশ্য তাতে পিএসজির উদযাপনে কোনো ভাটা পড়েনি। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখা দলটির সামনে এখন অধরা ইউরোপ সেরার মুকুটের হাতছানি। ‘মুন বুটে’ পা নিয়ে ডাগআউটে বসেছিলেন কোচ টুখেল, তবে মুখে ছিল চওড়া হাসি। আর নেইমার-এমবাপেদের উদযাপন তো ছিল বাঁধভাঙা।