পরিসংখ্যানে বায়ার্ন-লিওঁ লড়াই

এক দশক পর মাঠের লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ ও অলিম্পিক লিওঁ। দুই দলের অতীত পরিসংখ্যান ও চলমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পারফরম্যান্সে এগিয়ে আছে বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়নরা। ছন্দে আছে লিগ ওয়ানের দলটিও।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2020, 07:04 PM
Updated : 18 August 2020, 07:08 PM

কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলের রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে উঠেছে বায়ার্ন। প্রতিযোগিতায় টানা নয় ম্যাচ অপরাজিত আছে তারা। পিছিয়ে নেই লিওঁ; অ্যাওয়ে গোলে শক্তিশালী ইউভেন্তুসকে হারিয়ে শেষ আটে উঠে তারা জিতেছে প্রতিযোগিতার আরেক ফেভারিট ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে।

পর্তুগালের লিসবনে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে বায়ার্ন-লিওঁ। ফাইনালে ওঠার লড়াই শুরুর আগে অপটা তুলে ধরেছে দুই দলের পরিসংখ্যান।

- দ্বিতীয় ফরাসি কোচ হিসেবে কোনো ফরাসি দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তোলার সুযোগ লিওঁ কোচ রুডি গার্সিয়ার সামনে। ২০০৪ সালে মোনাকোকে ফাইনালে তুলেছিলেন দিদিয়ের দেশম।

- চলতি আসরে এ পর্যন্ত ৩৯ গোল করেছে বায়ার্ন। এক মৌসুমে এর চেয়ে বেশি গোল করতে পেরেছে কেবল তিনটি দল, বার্সেলোনা ৪৫টি, রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল ৪১টি করে।

- চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একই মৌসুমে পরপর দুই ম্যাচ ৮ বছর আগে জিতেছে লিওঁ। ২০১১-১২ মৌসুমের গ্রুপ পর্বে দিনামো জাগরেবকে হারানোর পর শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আপোয়েলের বিপক্ষে জিতেছিল তারা। সেবার অবশ্য ফিরতি লেগে আপোয়েলের কাছে টাইব্রেকারে হেরে ছিটকে গিয়েছিল লিওঁ।

১০- গত ১০ বছরে প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে লিওঁ ও বায়ার্ন। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালেই দেখা হয়েছিল দুই দলের, ২০০৯-১০ মৌসুমে। সেবার দুই লেগ মিলে ৪-০ গোলে জিতেছিল বায়ার্ন। সব মিলে আগের ৮ বারের দেখায় ৪ বার জয় পেয়েছে জার্মান দলটি; হেরেছে ২ বার, ড্র হয়েছে অন্য দুটি।

১০- এবার লিওঁকে হারালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড স্পর্শ করবে বায়ার্ন। ২০১৩ সালে টানা ১০ ম্যাচ জিতে তারাই রেকর্ডটা গড়েছিল। ২০১৫ সালে তাদের পাশে বসে রিয়াল মাদ্রিদ।

১২- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যুগে বায়ার্নের ১২ বারের চেয়ে বেশিবার সেমি-ফাইনালে উঠেছে কেবল রিয়াল মাদ্রিদ (১৩ বার)।

১৫- কোয়ার্টার-ফাইনালে নিজ নিজ ম্যাচে লিওঁর মুসা দেম্বেলে ও বায়ার্নের ফিলিপে কৌতিনিয়ো দুই জনই ৭৫তম মিনিটে বদলি নেমে জোড়া গোল করেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট ম্যাচে সবচেয়ে কম সময় খেলে অন্তত দুই গোল করার রেকর্ড যৌথভাবে এখন এই দুজনের।