বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ক্যাম্প উপলক্ষে খেলোয়াড়দের সব মিলিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ টেস্ট করিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তিন পরীক্ষার মধ্যে রায়হান দুটিতে নেগেটিভ এবং একটিতে পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ায় বাফুফে তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিল।
বাফুফের মাধ্যমে পাঠানো বার্তায় রোববার চতুর্থ দফার রিপোর্টে আবারও নেগেটিভ আসার কথা জানান রায়হান।
“বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে আমরা তিনটা টেস্ট করি। সেখানে আমার দুটিতে নেগেটিভ এবং একটিতে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। আমি বিশেষ পর্যবেক্ষণে ছিলাম। গতকাল আবার টেস্ট করিয়েছি। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।”
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ক্যাম্প বাতিল হয়ে যাওয়ায় রায়হান ফিরছেন টাঙ্গাইলে। আবাহনী লিমিটেডের এই ২৫ বছর বয়সী ডিফেন্ডার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে জানালেন স্বস্তি নিয়ে ফেরার কথা।
“দুইবার নেগেটিভ রিপোর্ট এলেও একবার পজিটিভ আসায় কিছুটা শঙ্কার মধ্যে ছিলাম। ভীতিও কাজ করছিল পরিবারের লোকজনের মধ্যে। সেটা দূর হয়ে গেছে আবার নেগেটিভ রিপোর্ট আসায়। স্বস্তি নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি।”
“কোচের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। বাড়িতে ফিরে গেলেও তার দেওয়া রুটিন অনুযায়ী চলব। বাড়িতে গেলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে বাইরে ঘোরাফেরা করা এবং মানুষের সঙ্গে মেলামেলা করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে বাফুফে। এর মধ্যে ফিটনেস ধরে রাখার জন্য যতটা পারা যায়, অনুশীলন করব।”
বাফুফে সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও স্টাফ মিলিয়ে ৩৬ জনের টেস্ট করিয়েছিল। সেখানে ৩০ খেলোয়াড়ের মধ্যে ২০ জনের নেগেটিভ, ৭ জনের পজিটিভ এবং ৩ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়েছিল তারা।
পজিটিভ রিপোর্ট আসা ৭ জন হলেন-এমএস বাবুল, রবিউল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, টুটুল হোসেন বাদশা, শহিদুল আলম সোহেল, আনিসুর রহমান ও বিশ্বনাথ ঘোষ। রিয়াদুল হাসান রাফি, রায়হান হাসান ও রাকিব হোসেনকে রাখা হয় পর্যবেক্ষণে।