স্বপ্নময় পথচলায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে লাইপজিগ

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে গিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিল লাইপজিগ। আতলেতিকো মাদ্রিদ সমতা ফেরাল বটে, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। শেষ মুহূর্তের গোলে ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠেছে মাত্র ১১ বছর আগে ফুটবলের আঙিনায় পথচলা শুরু করা জার্মান দলটি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2020, 09:02 PM
Updated : 13 August 2020, 09:40 PM

পর্তুগালের লিসবনে বৃহস্পতিবার রাতে এক লেগের কোয়ার্টার-ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। শেষ চারে তারা খেলবে পিএসজির বিপক্ষে। আগের দিন আতালান্তাকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।

আক্রমণ আর পাল্টা-আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠে লড়াই। ষষ্ঠ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন লাইপজিগের মার্সেল হালস্টেনবার্গ; ছোট ডি-বক্সের সামনে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে উড়িয়ে মারেন এই জার্মান ডিফেন্ডার।

ত্রয়োদশ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে আতলেতিকো মিডফিল্ডার ইয়ানিক কারাসকোর নেওয়া জোরালো শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক।

প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থাকা লাইপজিগ এরপর বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠলেও আতলেতিকোর রক্ষণ ভাঙাতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে লাইপজিগকে এগিয়ে নেন দানি ওলমো। ডান দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন অরক্ষিত এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

৭১তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে আতলেতিকোকে ম্যাচে ফেরান জোয়াও ফেলিক্স। ডি-বক্সে পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল স্প্যানিশ দলটি।

নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে কপাল পোড়ে আতলেতিকোর। লাইপজিগের জয়সূচক গোলটি করেন টেইলর অ্যাডামস। ডি-বক্সের সামনে থেকে তার নিচু শট আতলেতিকোর এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

বাকি সময়ে ম্যাচে ফেরার প্রাণপণ চেষ্টা করে আতলেতিকো; কিন্তু আর গোলের দেখা পায়নি তিনবারের রানার্সআপরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে প্রথমবারের মতো কোনো জার্মান দলের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিল মাদ্রিদের দলটি। 

লিসবনে যাওয়ার আগেই একটা ধাক্কা খেয়েছিল আতলেতিকো। কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ ফল আসে তাদের ফরোয়ার্ড আনহেল কোররেয়া ও ডিফেন্ডার সিমে ভারসালিকোর। সেই ধাক্কা যেন আর সামলে উঠতে পারল না তারা।

২০০৯ সালে নতুন রূপে, নতুন মালিকানায় যাত্রা শুরু করা লাইপজিগ পঞ্চম বিভাগ থেকে ৯ বছরের মধ্যে জার্মানির শীর্ষ লিগে ওঠে ২০১৬ সালে। এবার বুন্ডেসলিগায় হয়েছে তৃতীয়। চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে এসে প্রথমবার নকআউটে উঠেই সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিল দলটি।