পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত একটায় ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আতালান্তার মুখোমুখি হবে পিএসজি।
মৌসুমের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ঢঙে খেলে চলেছে আতালান্তা। এ বছরের শুরু থেকে ধারাবাহিক সাফল্যও পেতে থাকে দলটি। ফলাফল-সেরি আয় তারা মৌসুম শেষ করেছে তিনে থেকে। এবারের লিগে সর্বোচ্চ ৯৮ গোল তাদের। পরের স্থানে থাকা ইন্টার মিলানের চেয়ে যা ১৭টি বেশি। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, কতটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে তারা।
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে এসেই মাত করে দেওয়া দলটি প্রতিযোগিতায় নিজেদের সবশেষ পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত; জিতেছে চারটি, অন্যটি ড্র। ভালেন্সিয়াকে দুই লেগেই হারিয়ে ৮-৪ অগ্রগামিতায় শেষ আটে জায়গা করে নেয় তারা।
অন্যদিকে, পিএসজি শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে হেরেছিল ২-১ গোলে। ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জিতে শেষ আটের টিকেট পায় তারা। করোনাভাইরাসের কারণে বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে এবার কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমি-ফাইনাল হবে এক লেগে। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে পিএসজি কোচ অকপটেই স্বীকার করে নিলেন, আতালান্তার বিপক্ষে ম্যাচটা কঠিন হবে তাদের জন্য।
“আতালান্তার বিপক্ষে খেলা কঠিন। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সবসময়ই সম্ভাবনা থাকে। আতালান্তার নিজস্ব ধরন রয়েছে…তারা সাত খেলোয়াড় নিয়ে প্রতিপক্ষের অর্ধে আক্রমণে যায়। তারা অনেক গোল করেছে এবং দুর্দান্ত একটি দল। আক্রমণে জায়গা খুঁজে নিতে হবে। তবে আমাদের ভালো খেলতে হবে।”
“এটি কৌশলগত একটি ম্যাচ হবে, একই সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও। আমাদের সবশেষ অনুশীলন সেশনে একাগ্রতা ও টিম স্পিরিটের ভালো সমন্বয় ছিল। ভুগলে আমরা একসঙ্গে ভুগি, আবার লড়াইও করি একসঙ্গে।”