নকআউট পর্বের পরিসংখ্যানে বার্সেলোনা-বায়ার্ন

লিসবনের কোয়ার্টার-ফাইনালে ফের দেখা হচ্ছে দুই বড় দল বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের। করোনাভাইরাসের থাবায় দুই লেগের নিয়ম বদলে প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে এই প্রথম এক ম্যাচে নিষ্পত্তি হবে সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2020, 12:14 PM
Updated : 11 August 2020, 12:14 PM

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে এর আগে ছয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। বায়ার্নের জয় তিনটি, বার্সেলোনার দুইটি। অন্য ম্যাচটি ড্র। তবে দুই লেগ মিলিয়ে নকআউট পর্ব পেরুনোর হিসাবে বার্সেলোনা ‍দুইবার এবং বায়ার্ন একবার সফল।

আগামী শুক্রবার মুখোমুখি হবে সমান পাঁচবার করে ইউরোপ সেরার ট্রফি জেতা বার্সেলোনা ও বায়ার্ন। বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হবে ম্যাচটি। আরেকটি দ্বৈরথের আগে নকআউট পর্বে দুটি দলের পূর্বের লড়াই নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর পাঠকদের জন্য এই আয়োজন।

২০০৮-০৯ কোয়ার্টার-ফাইনাল: জয়ী বার্সেলোনা

দিনটি ছিল ৮ এপ্রিল, ভেন্যু কাম্প নউ। নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধেই ম্যাচের ভাগ্য লিখে ফেলেছিল বার্সেলোনা। নবম মিনিটে লিওনেল মেসি দলকে এগিয়ে নেওয়ার তিন মিনিট পর সামুয়েল এতোর গোলে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। এরপর ৩৮তম মিনিটে মেসি আবারও গোল করলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বায়ার্ন মিউনিখ। ৪৩তম মিনিটে থিয়েরি অঁরির লক্ষ্যভেদে স্কোরলাইন ৪-০ করে নেওয়া বার্সেলোনা শেষ পর্যন্ত জিতেছিল ওই ব্যবধান ধরে রেখে।

১৪ এপ্রিল আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার ফিরতি লেগে সেসময়ের পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে আটকাতে পারেনি বায়ার্ন। ৪-০ ঘাটতি পোষাতে রেকর্ড গড়তে হতো বুন্ডেসলিগার দলটিকে। ফ্রাঙ্ক রিবেরি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান সেইডু কেইটা। ১-১ ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচ। ৫-১ অগ্রগামিতায় সেমি-ফাইনালে ওঠা বার্সেলোনা ওই মৌসুম চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ট্রেবল জিতেছিল।

২০১২-১৩ সেমি-ফাইনাল: জয়ী বায়ার্ন

তিতো ভিলানোভার বার্সেলোনাকে সেবার দুই লেগেই দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছিল বায়ার্ন। ২৩ এপ্রিলে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রথম লেগে পুরোটা সময়ে ছড়ি ঘুরিয়ে টমাস মুলার, মারিও গোটসে ও আরিয়েন রবেনের নৈপুণ্যে ৪-০ গোলে জিতেছিল জার্মানির দলটি। মুলার করেছিলেন জোড়া গোল।

১ মের ফিরতি লেগে কাম্প নউয়ে চোটের কারণে খেলতে পারেননি মেসি। জমজমাট লড়াইয়ের প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষের পর দ্বিতীয়ার্ধেও বার্সেলোনার ত্রাতা হয়ে উঠতে পারেনি কেউ। উল্টো রবেন বায়ার্নকে এগিয়ে নেওয়ার পর বার্সেলোনার জেরার্দ পিকে করেন আত্মঘাতী গোল। এরপর মুলারের লক্ষ্যভেদে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।

দুই লেগ মিলিয়ে ৭-০ গোলের অগ্রগামিতায় সেমি-ফাইনাল পেরুয় বুন্ডেসলিগার দলটি। ১৯৬৪ সালের পর সেমি-ফাইনালে এটাই দুই লেগ মিলিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। সেবার ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বায়ার্ন।

২০১৪-১৫ সেমি-ফাইনাল: জয়ী বার্সেলোনা

কাম্প নউয়ে ৬ মের প্রথম লেগের শেষ ভাগে মেসি হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। বার্সেলোনাও উপহার দিয়েছিল স্মরণীয় রাত। ৭৭ থেকে ৮০ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করেন মেসি। ৯৪তম মিনিটে নেইমার ঠুকে দেন শেষ পেরেক। কাতালুনিয়ার দলটি জিতে ৩-০ গোলে। সেসময় বায়ার্নের ডাগআউটে ছিলেন বার্সেলোনাকে মুঠোভরে সাফল্য এনে দেওয়া কোচ গুয়ার্দিওলা।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার ফিরতি লেগে গুয়ার্দিওলার বায়ার্নের শুরুটা ছিল দারুণ। সপ্তম মিনিটে বেনাতিয়ার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু ১৫ ও ২৯ মিনিটে নেইমারের জোড়া গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। পরে রবের্ত লেভানদোভস্কি ও মুলারের গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন কিন্তু দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে পিছিয়ে ছিটকে যায়। সেবার ফাইনালে ইউভেন্তুসকে হারিয়ে শিরোপায় চুমু এঁকেছিল লুইস এনরিকের বার্সেলোনা।