ক্লাব ফুটবলে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার ৬৫তম আসরের কোয়ার্টার-ফাইনাল শুরু হচ্ছে আগামী বুধবার। পিছু ফিরে দেখায় সব আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালের নানা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছে উয়েফা ডটকম। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো শেষ আটের সাতকাহন।
গেন্তো-ইনিয়েস্তা-রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি মেসির
শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের দাপুটে পারফরম্যান্সে নাপোলি বাধা পেরিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছায় বার্সেলোনা। দারুণ এক গোল উপহার দেন মেসি।
১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামে পরিচিত টুর্নামেন্টটি এক সময়ে পরিচিত ছিল ইউরোপিয়ান কাপ নামে। ক্লাব ফুটবলে ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে কোয়ার্টার-ফাইনালে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড একার করে নেওয়ার সুযোগ মেসির সামনে; আগামী শুক্রবার বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে মাঠে নামলেই রেকর্ডটির মালিক বনে যাবেন আর্জেন্টাইন তারকা।
ম্যাচ | নাম | ক্লাব |
২২ | পাকো গেন্তো | রিয়াল মাদ্রিদ |
২২ | আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা | বার্সেলোনা |
২২ | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা |
২২ | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও ইউভেন্তুস |
২১ | রায়ান গিগস | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড |
২১ | জেরার্দ পিকে | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও বার্সেলোনা |
২১ | চাভি | বার্সেলোনা |
কোয়ার্টার-ফাইনালে গোলের রাজা রোনালদো
অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে অলিম্পিক লিওঁর কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে ইউভেন্তুস। এবারের মতো পথচলা থেমেছে রোনালদোরও। শেষ আটে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটির মালিক এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডই। সহসা রেকর্ডটি ভাঙার কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। ২৫ গোল করা রোনালদোর চেয়ে বেশ পিছিয়ে সক্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী মেসি (১২)।
কোয়ার্টার-ফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোল যাদের:
গোল | নাম | ক্লাব |
২৫ | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও ইউভেন্তুস |
১৪ | আলফ্রেদো দি স্তেফানো | রিয়াল মাদ্রিদ |
১২ | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা |
১০ | রাউল গনসালেস | রিয়াল মাদ্রিদ, শালকে |
৯ | পাকো গেন্তো | রিয়াল মাদ্রিদ |
৯ | ফিলিপ্পো ইনজাগি | ইউভেন্তুস, এসি মিলান |
৯ | আন্দ্রে শেভচেঙ্কো | দিনামো কিয়েভ, এসি মিলান |
এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোল: মেসির সঙ্গী দুই কিংবদন্তি
২০১০ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল আর্সেনালকে হারানোর ম্যাচে গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন মেসি। চারবার জালে বল পাঠিয়েছিলেন তিনি। কোয়ার্টার-ফাইনালে এক ম্যাচে সেটি এখনও সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। এরপর দুবার হ্যাটট্রিক করলেও তাকে স্পর্শ করতে পারেননি রোনালদো। অবশ্য সব মিলিয়ে এই রেকর্ডের অংশীদার মোট তিন জন; এদের মধ্যে দুবার ম্যাচে চার গোল করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি আলফ্রেদো দি স্তেফানো। ম্যাজিক্যাল ম্যাগিয়ার্সের আরেক সদস্য সান্দোর কোচিস রেকর্ড গড়েছিলেন বার্সেলোনার হয়ে।
কোয়ার্টার-ফাইনালে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোল যাদের:
গোল | নাম | ম্যাচ |
৪ | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা-আর্সেনাল (২০১০) |
৪ | সান্দোর কোচিস | বার্সেলোনা-উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্স (১৯৬০) |
৪ | আলফ্রেদো দি স্তেফানো | রিয়াল মাদ্রিদ-ভিয়েনার এসসি (১৯৫৯) |
৪ | আলফ্রেদো দি স্তেফানো | রিয়াল মাদিদ-সেভিয়া (১৯৫৮) |
করোনাভাইরাসের থাবায় এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল ও সেমি-ফাইনাল দুই লেগের পরিবর্তে হবে এক লেগে। দুই লেগের কোয়ার্টার-ফাইনালে সবচেয়ে বেশি ৫ রোনালদোর। ২০১৭-১৮ আসরে বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথম লেগে দুই গোলের পর ফিরতি লেগে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সেসময় রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা পর্তুগিজ তারকা।
১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে কোয়ার্টার-ফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোল যাদের:
গোল | নাম | ম্যাচ |
৫ | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ-বায়ার্ন মিউনিখ (২০১৭/১৮) |
৪ | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা-আর্সেনাল (২০০৯/১০) |
৪ | ফিলিপ্পো ইনজাগি | ইউভেন্তুস- দিনামো কিয়েভ (১৯৯৭/৯৮) |
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন ও বার্সেলোনা, সব মিলিয়ে রিয়াল
১৯৯২-৯৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামকরণের পর সবচেয়ে বেশিবার (১৮) কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলার রেকর্ড বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনার। দুটি দল এবারও শেষ আটে ওঠায় তাদের ম্যাচ সংখ্যা বাড়বে সমানভাবে। তবে ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে রেকর্ডের এ পাতায় অনেক উচুঁতে রিয়াল মাদ্রিদ; ৩৫ বার শেষ আটে খেলেছে স্পেনের সফলতম দলটি।
সবচেয়ে বেশি শেষ আটে খেলেছে যে দলগুলো:
দল | চ্যাম্পিয়ন্স লিগে | ইউরোপ সেরার মঞ্চে |
রিয়াল মাদ্রিদ | ১৬বার | ৩৫বার |
বায়ার্ন মিউনিখ | ১৮বার | ৩০বার |
বার্সেলোনা | ১৮বার | ২২বার |
ইউভেন্তুস | ১২বার | ১৯বার |
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ১৪বার | ১৯বার |
টানা কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলার রেকর্ড বার্সেলোনার
নাপোলিকে বিদায় করে এবার টানা ত্রয়োদশবারের মতো কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে বার্সেলোনা। সব মিলিয়েই যেটি রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামকরণের পর দুই লেগ মিলিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে সবচেয়ে বেশিবার জিতেছে রিয়াল। সব মিলিয়েও শেষ আটে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড তাদের।
টানা সবচেয়ে বেশি কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলেছে যে দলগুলো:
টানা শেষ আটে খেলা | দল | মৌসুম |
১৩বার | বার্সেলোনা | ২০০৭/০৮ থেকে |
৮বার | রিয়াল মাদ্রিদ | ২০১০/১১-২০১৭/১৮ |
৭বার | বায়ার্ন মিউনিখ | ২০১১/১২-২০১৭/১৮ |
৭বার | রিয়াল মাদ্রিদ | ১৯৯৭/৯৮-২০০৩/০৪ |
৭বার | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ১৯৯৬/৯৭-২০০২/০৩ |
কোয়ার্টার-ফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি জয় যাদের:
দল | চ্যাম্পিয়ন্স লিগ | ইউরোপ সেরার মঞ্চে |
রিয়াল মাদ্রিদ | ১৩বার | ২৯বার |
বার্সেলোনা | ১২বার | ১৫বার |
বায়ার্ন মিউনিখ | ১১বার | ১৯বার |
কোয়ার্টার-ফাইনালে হারের রেকর্ড ম্যানইউ ও বায়ার্নের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই লেগ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি হারের রেকর্ড ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের; ৭বার। এ পাতায় ইউনাইটেডের পরেই আছে বায়ার্ন (৬বার), বার্সেলোনা (৫বার)। আর্সেনাল, বেনফিকা, ইন্টার মিলান ও পিএসজি-এই চার দল হেরেছে চারবার করে।
সব মিলিয়ে ইউরোপ সেরার মঞ্চে হতাশার রেকর্ডের এ পাতায় অবশ্য শীর্ষে আছে বায়ার্ন; বুন্ডেসলিগার দলটি ১০বার ছিটকে গেছে শেষ আট থেকে। বেনফিকা ৯বার, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৭বার এবং রিয়াল মাদ্রিদ ৬বার পেয়েছে এই তেতো স্বাদ।
ম্যাচ জয়: চূড়ায় রিয়াল
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামকরণের আগে-পরে সব মিলিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ম্যাচ জয়ে শীর্ষে রিয়াল। এখানে বলে রাখা ভালো, সব মিলিয়ে ১৩ বার শিরোপা জয়ের রেকর্ডও তাদের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হিসেবে শেষ আটে সর্বোচ্চ ১৮ ম্যাচ জিতেছে রিয়াল; সব মিলিয়ে সংখ্যাটি ৩৪ ম্যাচ।
কোয়ার্টার-ফাইনালে সবচেয়ে বেশি জয় যাদের:
দল | চ্যাম্পিয়ন্স লিগ | সব মিলিয়ে |
রিয়াল মাদ্রিদ | ১৮ ম্যাচ | ৩৪ ম্যাচ |
বায়ার্ন মিউনিখ | ১৬ ম্যাচ | ৩০ ম্যাচ |
বার্সেলোনা | ১৬ ম্যাচ | ২২ ম্যাচ |
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ১২ ম্যাচ | ১৮ ম্যাচ |
হারের রেকর্ডও রিয়ালেরই
কোয়ার্টার-ফাইনালে জয়ের মতো হারের রেকর্ডের সব পাতাতেই শীর্ষে রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০ ম্যাচ এবং সব মিলিয়ে ২৩ ম্যাচ হেরেছে তারা।
ইউরোপিয়ান কাপে বেনফিকা হেরেছে ১৮ ম্যাচে। বায়ার্ন হেরেছে ১৫ ম্যাচে, জার্মানির দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হেরেছে ৯ ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯ ম্যাচে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ইউরোপিয়ান কাপে হেরেছে ১১ ম্যাচে। ইউরোপ সেরার মঞ্চে সব মিলিয়ে শেষ আটে ইউভেন্তুস হেরেছে ১৯ ম্যাচ।
গোল দেওয়ার রেকর্ড রিয়ালের
এবার আগেভাগে ঝরে গেলেও শেষ আটে গোল দেওয়ার রেকর্ডের পাতার চূড়ায় থাকছে রিয়াল মাদ্রিদেরই নাম। রেকর্ডটি সহজে তাদের হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনাও কম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তো বটেই, সব মিলিয়েও এ পাতায় দাপট রিয়ালের।
সবচেয়ে বেশি গোল দিয়েছে যে দলগুলো:
দল | চ্যাম্পিয়ন্স লিগ | ইউরোপ সেরার মঞ্চে |
রিয়াল মাদ্রিদ | ৬৩ গোল | ১৩৮ গোল |
বার্সেলোনা | ৫৬ গোল | ৭৭ গোল |
বায়ার্ন মিউনিখ | ৫৫ গোল | ৯৭ গোল |
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৪৪ গোল | ৬৮ গোল |
গোল হজম: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামকরণের আগে রিয়াল, পরে বায়ার্ন
১৯৯২-৯৩ মৌসুমের আগে ইউরোপ সেরার মঞ্চে সবচেয়ে বেশি ৮৫ গোল হজম করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই সময়ে ৬৯ গোল হজম করে তাদের পেছনে ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। বেনফিকা ৫৩ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হজম করেছিল ৪৭ গোল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামকরণের পর সর্বোচ্চ ৪৩ গোল হজম করেছে বায়ার্ন। ৩৮ গোল হজম করে তাদের পেছনেই আছে রিয়াল। বার্সেলোনা ও ইউনাইটেড হজম করেছে ৩৪টি করে গোল।
কোয়ার্টার-ফাইনালে ম্যাচের হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বড় জয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ২০০৬/০৭ মৌসুমে ইতালির দল রোমাকে ৭-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা।
২০১৪/১৫ মৌসুমে পোর্তোকে বায়ার্ন মিউনিখ ৬-১ গোলে হারায়। বার্সেলোনা দুই দফায় জিতেছিল ৫-১ ব্যবধানে।
১৯৫৭/৫৮ মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপে সেভিয়াকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল। ইউরোপ সেরার মঞ্চে এটাই সবচেয়ে বড় জয়।
শেষ আটে সবচেয়ে বড় জয়:
স্কোরলাইন | দল/প্রতিপক্ষ | মৌসুম |
৮-০ | রিয়াল মাদ্রিদ-সেভিয়া | ১৯৫৭/৫৮ |
৭-১ | রিয়াল মাদ্রিদ-ভেইনার এসসি | ১৯৫৮/৫৯ |
৭-১ | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-রোমা | ২০০৬/০৭ |
৬-০ | বেনফিকা-নুরেমবুর্ক | ১৯৬১/৬২ |
৬-১ | বায়ার্ন মিউনিখ-পোর্তো | ২০১৪/১৫ |
৫-১ | বার্সেলোনা-শাখতার | ২০১০/১১ |
৫-১ | বার্সেলোনা-চেলসি | ১৯৯৯/২০০০ |
দুই লেগ মিলিয়ে সবচেয়ে বড় জয় রিয়ালের
ইউরোপ সেরার মঞ্চে দুই লেগ মিলিয়ে বড় জয়ের দুটি গল্পই রিয়াল মাদ্রিদের লেখা। আপোয়েল নিকোসিয়াকে ৮-২ গোলে হারানো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের বড় জয়। সব মিলিয়ে দলটির বড় জয় ১০-২ গোলে, সেভিয়ার বিপক্ষে; ১৯৫৭/৫৮ মৌসুমে পেয়েছিল তারা। সেসময় প্রতিযোগিতাটির নাম ছিল ইউরোপিয়ান কাপ।
স্কোরলাইন | দল/প্রতিপক্ষ | মৌসুম |
১০-২ (৮-০ ও ২-২) | রিয়াল মাদ্রিদ-সেভিয়া | ১৯৫৭/৫৮ |
৯-২ (৪-০, ৫-২) | বার্সেলোনা-উলভারহ্যাম্পটন | ১৯৫৯/৬০ |
৮-১ (৩-১ ও ৫-০) | এসি মিলান-গালাতাসারাই | ১৯৬২/৬৩ |
৮-২ (৩-২ ও ৫-২) | রিয়াল মাদ্রিদ-আপোয়েল | ২০১১/১২ |
৭-০ (৫-০ ও ২-০) | দিনোমো কিয়েভ-বেসিকতাস | ১৯৮৬/৮৭ |
৬-০ (২-০ ও ৪-০) | বায়ার্ন-কাইজারস্লাটার্ন | ১৯৯৮/৯৯ |
গোল উৎসবের কোয়ার্টার-ফাইনাল
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই লেগ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোল উপহার দেওয়া কোয়ার্টার-ফাইনাল চেলসি-লিভারপুলের। ২০০৮/০৯ মৌসুমে দুই দলের প্রথম লেগে অ্যানফিল্ডের ম্যাচে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল চেলসি। এরপর নিজেদের মাঠ স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজে লিভারপুলের সঙ্গে ৪-৪ ড্র করেছিল তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ফুটবলপ্রেমীরা উপভোগ করেছিলেন এক ডজন গোল।
ইউরোপিয়ান কাপে সবচেয়ে বেশি গোলের কোয়ার্টার-ফাইনাল ছিল রেইম্স ও এমটিকে হাঙ্গারিয়ার ম্যাচ। ১৯৫৫/৫৬ মৌসুমের শেষ আটের সেই লড়াইয়ে হয়েছিল ১৪ গোল!
১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে রিয়াল ও সেভিয়া ম্যাচেও হয়েছিল ১২ গোল।