বিশ্বকাপ বাছাই ক্যাম্প: দুই হাসপাতালে খেলোয়াড়দের নমুনা

আইসিডিডিআরবি ও প্রভা হেলথের প্রতিনিধিরা গাজীপুরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ক্যাম্পে গিয়ে সবার নমুনা নিয়েছেন। আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2020, 12:32 PM
Updated : 10 August 2020, 12:32 PM

২০২২ কাতার ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাই শুরু হবে আগামী অক্টোবরে। এ উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার গাজীপুরে ক্যাম্প শুরুর কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু তিন ধাপে ক্যাম্পে যোগ দেওয়াদের মধ্যে ১৮ জন খেলোয়াড় এবং একজন স্টাফের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসায় নতুন করে সবার পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় বাফুফে।

গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টে সোমবার গিয়ে খেলোয়াড়, অফিসিয়াল এবং ক্যাম্প সংশ্লিষ্টদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা আইসিডিডিআরবি ও প্রভাব হেলথের প্রতিনিধিরা নিয়েছেন বলে বাফুফের মাধ্যমে জানিয়েছেন টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু।

“আজকে দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সমস্ত খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছে। শুরুতে আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধিরা এসেছিল। যারা নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েছিল, শুরুতে তাদের নমুনা নেওয়ার পর যারা পজিটিভ হয়েছিল, তাদের নমুনাও নিয়েছে।”

“এরপর প্রভার প্রতিনিধিরা একইভাবে সবার নমুনা নিয়ে গেছে। এর মধ্যে আমরা খেলোয়াড়দের ডাক্তার দিয়ে চেক-আপ করিয়েছি। তারা মোটামুটি সুস্থ আছে। এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে তেমন কোনো উপসর্গ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তারা সবাই শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করছে। আশা করি, এই টেস্টের মাধ্যমে ভালো একটা ফল পাব।”

গত শনিবার তৃতীয় ধাপে ছয় জন খেলোয়াড়ের সবার নেগেটিভ রিপোর্ট আসার কথা জানিয়েছিল বাফুফে। আগের দুই ধাপে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রথম ধাপে ১২ জনের মধ্যে বিভিন্ন দফায় ১১ জনের পজিটিভ আসার কথা জানিয়েছিল তারা।

দ্বিতীয় ধাপে ১২ জনের মধ্যে শুরুতে পাঁচ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসার কথা বললেও পরে দুই দফায় আরও দুই জনের পজিটিভ আসার কথা জানায় বাফুফে। সব মিলিয়ে প্রথম দুই ধাপের ২৪ জনের মধ্যে ১৮ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

শুরুতে অনেকের নেগেটিভ বললেও পরে পজিটিভ আসায় বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে বাফুফে। এরপর সংস্থাটির ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ দুটি হাসপাতালে নতুন করে সবাইকে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন।

আগের তিন ধাপের সবগুলো পরীক্ষা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।