ইউভেন্তুস চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেওয়ার পরদিন শনিবার মাওরিসিও সাররিকে বরখাস্ত করার কয়েক ঘণ্টা পরই পিরলোকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় সেরি আ চ্যাম্পিয়নরা।
যুব বা সিনিয়র, কোনো পর্যায়েই কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই ৪১ বছর বয়সী পিরলোর। গত মাসের শেষে তাকে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচের দায়িত্ব দিয়েছিল ইউভেন্তুস। সেই দলের হয়ে কোনো ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ানোর আগেই সিনিয়র দলের দায়িত্ব পেয়েছেন ইতালির বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই মিডফিল্ডার।
পিরলো ইউভেন্তুসের কোচ হওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। স্কাই স্পোর্ত ইতালিয়াকে পিরলোর সাবেক জাতীয় দল ও ইউভেন্তুস সতীর্থ পিয়েরো হাসতে হাসতে বলেন, সেই দলে আছেন তিনি নিজেও।
“আমি মনে করি, সাবেক খেলোয়াড় যারা কোচ হয়েছে তাদের নিয়ে লোকজনের ধারণা ইতালিতে পরিবর্তন হচ্ছে। আগে বাণিজ্যিক বিষয় শিখতে নিচের লিগগুলিতে একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতো। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আমরা ফিলিপ্পো (ইনজাঘি), সিমোনে ইনজাঘি, একই সঙ্গে জেন্নারো গাত্তুসোর সাফল্য দেখছি। তারা দুর্দান্ত খেলোয়াড় ছিল এবং দুর্দান্ত দল নিয়ে সরাসরি কোচিং শুরু করেছিল।”
২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইউভেন্তুসের হয়ে ১৬৪ ম্যাচ খেলেন পিরলো। জেতেন চারটি লিগ শিরোপা। তুরিনের দলটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া আগনেল্লির বিশ্বাস, রিয়াল মাদ্রিদকে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতানো জিদানের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারেন পিরলো। তবে পিয়েরোর মতে, দুজনের মধ্যে সেভাবে তুলনা করা ঠিক নয়। কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
“জিজু (জিদান) আগে রিয়াল মাদ্রিদ যুব দলের সঙ্গে কাজ করেছিল, এরপর মূল দলে কার্লো আনচেলোত্তির সহকারী ছিল। তবে জিদানের চেয়ে আরও ভালো করার সব গুণ পিরলোর আছে।”