বিশ্বকাপ বাছাই ক্যাম্প: বিলম্বিত ৭ করোনাভাইরাস আক্রান্তের ব্যাখ্যা বাফুফের

প্রথম দফায় ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার জন্য ডাক পাওয়া ১২ ফুটবলারের চার জন করোনাভাইরাস পজিটিভ বলে শুরুতে জানায় বাফুফে। পরে আবার দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি নিশ্চিত করে, বাকি আট জনের সাত জনও কোভিড-১৯ রোগে ভুগছেন। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, সব খেলোয়াড়ের জন্য একই ফোন নাম্বার দেওয়ায় এই বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়েছিল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2020, 02:23 PM
Updated : 8 August 2020, 02:58 PM

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ৩৬ ফু্টবলারকে তিন ধাপে ক্যাম্পে যোগ দিতে বলেছিল বাফুফে। বুধবার প্রথম ধাপে যোগ দিতে আসা এক খেলোয়াড় আগেই নিশ্চিত করেন তিনি আক্রান্ত। পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর বাফুফে জানায়, আরও তিন জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

পরে শুক্রবার জানা যায়, প্রথম ধাপে যে আটজন করোনাভাইরাস নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন, আসলে তাদের সাতজনেরই ফল ছিল পজিটিভ।

কেন এমন হলো, এর ব্যাখ্যা দিলেন বাফুফের মেডিকেল কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. আলী ইমরান। জন্ম দিলেন অনেক প্রশ্নের।

“প্রথম দিন ২১ জনের টেস্ট করাই। এর মধ্যে ১১ জন ছিলেন খেলোয়াড়। দিনের রেজাল্ট দিনে দেওয়া হয়। প্রথমে পজিটিভ রেজাল্ট দেওয়া হয়। প্রথমে তিন জন খেলোয়াড়ের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। আমি তাৎক্ষনিকভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি।”

“জানতে চাই আর কোনও পজিটিভ রেজাল্ট আছে কিনা। আমাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়। না আসার কারণে ধরে নেই আর (কোনো পজিটিভ) রেজাল্ট নেই।”

আক্রান্ত নন জেনে ক্যাম্পে যোগ দেন আট খেলোয়াড়। দুই দিন পর বাফুফে জানতে পারে, বড় একটি ভুল হয়ে গেছে। আলী ইমরান জানান, সবার বিপরীতে স্রেফ এক জনের মোবাইল নাম্বার দেওয়াতে পরীক্ষার ফল চলে যায় অন্য কোথাও!

“ওখানে আমার নাম্বার দেওয়া ছিল। যোগাযোগ করার জন্য সব খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালের পরীক্ষায় আমার নাম্বার দাখিল করেছিলাম। কম্পিউটারের অটো জেনারেট প্রোগ্রামের কারণে প্রথম পাঁচটি নাম্বারের পর সেটা আর নিতে পারেনি।”

“যা আমাদের জানা ছিল না। যে কারণে পরের রিপোর্টগুলো অন্য জায়গায় চলে যায়। করোনা পাজিটিভ হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানানো হয়। পরে আমাকে জানানো হলো আরও সাত জনের পজিটিভ এসেছে।”

বাফুফের দাবি, যোগাযোগ প্রযুক্তিগত সমস্যায় পরীক্ষার ফল তাদের কাছে আসেনি। এতে পুরো বাছাই ক্যাম্পই পড়ে গেছে হুমকিতে।

করোনাভাইরাসের থাবায় স্থগিত থাকা ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই আগামী অক্টোবরে পুনরায় শুরু হবে। এ উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার গাজীপুরে ক্যাম্প শুরুর কথা ছিল বাংলাদেশের।

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানান, সোমবার আবার সবার পরীক্ষা করানো হবে।

“এই দফায় প্রত্যেকের নিজের নাম্বার দেওয়া হবে। একই ভুল তো আর বারবার করব না আমরা। বাছাইয়ের ক্যাম্প আমরা দ্রুত শুরু করতে চেয়েছিলাম। আমাদের ইনটেনশনও ভালো ছিল, কিন্তু সার্ভারের সমস্যায় এই বিপত্তি হলো। যাই হোক, আমরা আমাদের লক্ষ্য থেকে সরব না।”

“৩০ জনের মতো খেলোয়াড়কে আমরা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেব। যাদের রিপোর্ট পরের পরীক্ষাতেও পজিটিভ আসবে, তারা ক্যাম্পে আইসোলেশনে থাকবে। ডাক্তারের পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকবে। সেরে উঠলে ক্যাম্পে যোগ দেবে।”

দুই ধাপের ২৪ খেলোয়াড়ের মধ্যে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ১৮ জনের পজিটিভ রিপোর্ট জানিয়েছে বাফুফে। একজন স্টাফের পজিটিভ আসার কথাও জানিয়েছে তারা।