‘নেগেটিভ থেকে পজিটিভ’, ধোঁয়াশায় খেলোয়াড়রা

কেউ অ্যাপোলো হাসপাতালে, কেউ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে টেস্ট করিয়েছিলেন নিজেদের উদ্যোগে। রিপোর্ট এসেছিল কোভিড-১৯ নেগেটিভ। কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে নতুন করে পরীক্ষা করার পর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে অনেকের। নেগেটিভ থেকে পজিটিভ হয়ে যাওয়ায় বুঝে উঠতে পারছেন না খেলোয়াড়রা। শঙ্কা জেকে ধরেছে তাদেরও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2020, 12:48 PM
Updated : 8 August 2020, 02:56 PM

করোনাভাইরাসের থাবায় স্থগিত থাকা ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই আগামী অক্টোবরে পুনরায় শুরু হবে। এ উপলক্ষে গত শুক্রবার গাজীপুরে ক্যাম্প শুরুর কথা ছিল বাংলাদেশ দলের।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে তিন ধাপে ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের যোগ দিতে বলেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ক্যাম্পে পাঠানোর আগে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে খেলোয়াড়দের নতুন করে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিল বাফুফে।

নতুন পরীক্ষায় প্রথম ধাপের ১২ জনের মধ্যে চার জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। দুদিন পর জানা যায়, ক্যাম্পে প্রথম ধাপে যোগ দেওয়া আট জনের মধ্যে সাত জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ! দ্বিতীয় ধাপের ১২ জনের মধ্যে প্রথম দফায় পাঁচ জনের এবং পরে আরও দুজনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সব মিলিয়ে ২৪ জনের মধ্যে ১৮ জনই কোভিড-১৯ পজিটিভ! এছাড়া একজন অফিসিয়ালেরও পজিটিভ হওয়ার কথা জানায় বাফুফে।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের পরীক্ষায় প্রথম ধাপে নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েছিলেন বিপলু আহমেদ, ইয়াসিন আরাফাত। পরে দুজনে পজিটিভ রিপোর্ট পেয়ে বুঝে উঠতে পারছেন না কিছুই।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সাইফ স্পোর্টিংয়ের ডিফেন্ডার আরাফাত জানালেন বর্তমানে গাজীপুরের ক্যাম্পে নিজের রুমে আইসোলেশনে থাকার কথা। ১৭ বছর বয়সী এই তরুণ তাকিয়ে আছেন পরবর্তী পরীক্ষার দিকে।

“অ্যাপোলো হাসপাতালে পরীক্ষা করিয়েছিলাম। ওখানে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কোনো উপস্বর্গ নেই। সুস্থ আছি ইনশাল্লাহ। ক্যাম্পেই আছি। রুমেই মধ্যেই থাকছি। খাচ্ছি। ঘুমাচ্ছি। রুমের বাইরেই যাই না।”

“দুদিন আগে অ্যাপোলোর রিপোর্টে নেগেটিভ এলো। এখন পজিটিভ। কিভাবে কি হলো জানি না। বুঝতেও পারছি না। এখন দেখা যাক, সামনে আবার টেস্ট আছে, তখন কি হয়।”

বসুন্ধরা কিংসের বিপলু জানালেন সিলেট ওসমানী মেডিকেলের রিপোর্টে নেগেটিভ আসার কথা। কোনো উপসর্গ না থাকার কথা জানালেন ২১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারও।

“সিলেট ওসমানী মেডিকেলে টেস্ট করিয়েছিলাম। ওখানে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। এখনও আমি সুস্থ। কোনো উপস্বর্গ নেই।”

চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল মেডিকেল কলেজে টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েছিলেন গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। পরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের পরীক্ষায় পজিটিভ আসে তার। ঢাকা আবাহনীর এই গোলরক্ষকও দুই রকম রিপোর্ট নিয়ে আছেন ধোঁয়াশায়।

“৪ তারিখে টেস্ট করেছিলাম ইম্পেরিয়াল মেডিকেল কলেজে। ওখানে নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছিল। ঢাকায় এসে রিপোর্ট পেলাম পজিটিভ। ওখানে কায়সার ও মামুনুল ভাইও টেস্ট করিয়েছিলেন, তাদেরও নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছিল। গত এক-দেড়মাস ধরে আমার কোনো কাঁশি ছিল না। জ্বরও ছিল না।”

“বাড়ির কাছেই বিমানবন্দর। ফ্লাইটে চলে এসেছি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিয়ে। ক্লাবে যখন এসেছিলাম, তখন ক্লাবেও কেউ ছিল না। এখন কিভাবে পজিটিভ হলো তা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। আমি এখন রিসোর্টে আছি। আইসোলেশনে এখানে থাকব। একটু আগে অনুশীলন করেছি।”