শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে ইউভেন্তুস। প্রথম লেগে লিওঁ ১-০ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২। পার্থক্য গড়ে দেয় এই ম্যাচের শুরুতে মেমফিস ডিপাইয়ের পেনাল্টি গোল।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে অষ্টম মিনিটেই গোল খেতে বসেছিল ইউভেন্তুস। তবে হোসাম আউয়ারের পোস্ট ঘেঁষে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি।
চার মিনিট বাদে বিতর্কিত গোলে এগিয়ে যায় লিওঁ। ডি-বক্সে ঢুকে পড়া আউয়ারকে স্লাইড ট্যাকল করেন রদ্রিগো বেন্তানকুর। টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার ট্যাকলই মনে হয়েছে, বলে পা লাগিয়েছিলেনও তিনি। তবে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, ভিএআরেও সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। ঠাণ্ডা মাথার স্পট কিকে বল জালে পাঠান ডাচ ফরোয়ার্ড ডিপাই।
উনবিংশ মিনিটে দারুণ সুযোগ তৈরি করেন ফেদেরিকো বের্নারদেস্কি। ডানদিকের বাইলাইন ধরে গোলরক্ষকসহ দুজনকে কাটিয়ে চলে যান পোস্টের খুব কাছে। তবে তার শট নেওয়ার আগমুহূর্তে লিওঁকে বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডার মার্সেলো। ৪০তম মিনিটে রোনালদোর দারুণ ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক লোপেস।
বাকি সময়ে ইউভেন্তুস কয়েকটি আক্রমণ করলেও ছিল না চেনা ধার। সুযোগও মিলেছিল; কিন্তু রোনালদো ও হিগুয়াইনের লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে গোলের সমীকরণ মেলাতে পারেনি ইউভেন্তুস। তাই জিতেও ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে ছিটকে পড়ার হতাশায় মাঠ ছাড়ে মাওরিসিও সাররির দল।
একই সময়ে শুরু হওয়া আরেক ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। দুই লেগ মিলে তারা এগিয়ে গেছে ৪-২ ব্যবধানে।
আগামী শনিবার লিসবনে সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে সিটি ও লিওঁ।