জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) টুর্নামেন্টগুলো নিয়মিত আয়োজন করে চট্টগ্রাম। পাইপলাইনে ফুটবলারের সংকট কাটাতে চট্টগ্রামের কার্যক্রমকে উদাহরণ হিসেবে টানলেন নাসিরউদ্দিন।
“চট্টগ্রাম ডিএফএ প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং অগ্রণী লিগ চালিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের অনেক ফুটবলার খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এ খেলোয়াড়রা বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলছেন। আমি আশা করি, দেশের অন্যান্য ৬৩টি জেলা বা ডিএফএগুলোও একই উদ্যোগ নেবে।”
“তারা যদি নিজ নিজ জেলায় প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং অগ্রণী লিগ শুরু করে, তবে আমরা আরও খেলোয়াড় পাব বলে মনে করি। যত বেশি প্রতিযোগিতা হবে, তত বেশি খেলোয়াড় আমরা পাবো। এখান থকে উঠে আসবে ভালো ভালো খেলায়াড়। দিনশেষে জাতীয় দল এবং আমাদের দেশ উপকৃত হবে।”
জেলা পর্যায়ের টুর্নামেন্ট থেকে প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় বিভাগ এবং প্রিমিয়ার লিগের পরের ধাপ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (বিসিএল) খেলার সুযোগ মেলে খেলোয়াড়দের। বাফুফের মাধ্যমে পাঠানো বার্তায় নাসিরউদ্দিন তুলে ধরেন এই ধাপগুলোর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের গুরুত্ব।
“জেলার টুর্নামেন্টগুলো হলে ফুটবলাররাও উপকৃত হবেন, তারা বিপিএল ও বিসিএলে খেলার সুযোগ পাবেন। অনেক ভালো দল ও ক্লাব বিপিএলে জড়িত হচ্ছে, খেলোয়াড়েরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে, যা আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করছে ।”
“আমাদের খেলোয়াড়দের আগ্রহের অভাব নেই, বাকিটা ডিএফএকে করতে হবে। তারা যদি এগিয়ে আসে এবং ফুটবল নিয়ে নানা উদ্যোগ অব্যাহত রাখে, তাহলে আমার বিশ্বাস দেশের ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে।”
প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় ও বিসিএল, ফুটবলার উঠে আসার এই মাঝের স্তরের প্রতিযোগিতাগুলো নিয়মিত আয়োজনের প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করছেন নাসিরউদ্দিন।
“আমরা চট্টগ্রামের প্রায় ৭-৮ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে খেলছি; সংখ্যাটি বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল, যেমন অনূর্ধ্ব-২৩, অনূর্ধ্ব -১৯, অনূর্ধ্ব-১৫ এ আরও বেশি। চলমান বিপিএল, বিসিএল, প্রথম বিভাগ এবং দ্বিতীয় বিভাগসহ বিভিন্ন ঘরোয়া লিগে এ খেলোয়াড়েরা নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পাচ্ছে।”
“আশা করি, ঘরোয়া লিগগুলো চলতে থাকবে। এই লিগগুলোকে অব্যাহত রাখতে হবে যাতে করে আমাদের জাতীয় দল এবং অন্যান্য বয়সভিত্তিক দলগুলো ফুটবল সংকটের মুখোমুখি না হয়।”