ঘরের মাঠে সোমবার রাতে লিগ ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে ইউভেন্তুস। লাৎসিওর একমাত্র গোলদাতা চিরো ইম্মোবিলে।
এসি মিলানের বিপক্ষে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও দ্রুত চার গোল খেয়ে হেরেছিল ইউভেন্তুস। পরের দুই রাউন্ডে আতালান্তা ও সাস্সুয়োলোর বিপক্ষে ড্র করে মাওরিসিও সাররির দল।
টানা সাত জয়ের পর হঠাৎ পথ হারিয়ে ফেলা ইউভেন্তুস শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো। ভাগ্য সহায় ছিল না; আলেক্স সান্দ্রোর হেড বাধা পায় পোস্টে।
অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে প্রথমার্ধে আরও কয়েকটি ভালো আক্রমণ করে স্বাগতিকরা। তবে আক্রমণের শেষ ধাপে গিয়ে ফরোয়ার্ডরা খেই হারিয়ে ফেলায় গোলের দেখা মেলেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে গোলের দেখা পায় ইউভেন্তুস। রোনালদোর শট ডিফেন্ডার বাস্তোসের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি বাঁশি বাজান রেফারি। নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
তিন মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো। দিবালার পাস গোলমুখে পেয়ে অনায়াসে বাকি কাজ সারেন তিনি। এরই সঙ্গে ৩০ গোল নিয়ে আসরে গোলদাতাদের তালিকায় এককভাবে শীর্ষে ওঠেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
মাত্রই শীর্ষস্থান হারানো ইম্মোবিলের ৮৩তম মিনিটে সফল স্পট কিকে লড়াই জমে ওঠে। ইতালিয়ান এই ফরোয়ার্ড ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় সফরকারীরা। রোনালদোর সমান ৩০ গোল হলো তার।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সুযোগও এসেছিল লাৎসিওর সামনে। তবে মিলিনকোভিচ-সাভিচের ফ্রি-কিক রুখে দিয়ে জয় নিশ্চিত করেন স্ট্যাসনি।
তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পাওয়া ইউভেন্তুস ৩৪ ম্যাচে ২৫ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। ৮ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে ইন্টার মিলান। ৭১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে আতালান্তা। এক সময়ে দুই নম্বরে থাকা লাৎসিও ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে।