করোনাভাইরাসের থাবায় স্থগিত থাকা ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় পর্ব আগামী অক্টোবরে পুনরায় শুরু হবে।
অক্টোবরে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম পর্বের দেখায় ভালো খেলেও সুযোগ নষ্ট করে ১-০ গোলে হেরে বাছাই শুরু করেছিল জেমি ডের দল। এবার আফগানদের বিপক্ষে ভালো ফল পেতে প্রত্যয়ী তপু।
“আমরা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণের বাইরে আছি। আশা করছি, অগাস্ট মাসে আমাদের ক্যাম্প শুরু হবে এবং আমরা তৈরি হবার জন্য যথেষ্ট সময় পাব। হোম ম্যাচ হওয়ার কারণে আমরা কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পাব।”
“আফগানিস্তানের সঙ্গে ভালো খেলেও হেরে গিয়েছিলাম। কিন্তু দলগতভাবে তুলনা করলে আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকব। আমরা দেশের বাইরের ম্যাচগুলোতে ভালো খেলেছি। তাই আশা করছি, হোম ম্যাচেও ভালো করব। ইতিবাচক ফলাফল আশা করছি।”
আগামী ১৩ অক্টোবর, ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গত অক্টোবরে নিজেদের মাঠ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ার শক্তিশালী দলটির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
বাছাইয়ে নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলবে দল। আগামী ১২ নভেম্বরে ভারত এবং ১৭ নভেম্বর ওমানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গত নভেম্বরে, প্রথম লেগে ওমানের মাঠে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছিল দল। তবে ভারতের মাঠ থেকে ১-১ ড্র নিয়ে ফিরেছিল। তপুর বিশ্বাস, এই দুই ম্যাচ থেকেও ভালো কিছু পাওয়ার সামর্থ্য আছে তাদের।
“আমরা ভারতের সঙ্গে ওদের হোম ম্যাচে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও দুর্ভাগ্যবশত হেরে গিয়েছিলাম। সল্ট লেকে তাদের বিপক্ষে ভালো খেলাটা এবার ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমরা ওদের সম্পর্কে জানি, ওদের বিপক্ষে খেলেছি। আমি তাদের সঙ্গে আমাদের কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনি। আমরা উভয়ই সমান অবস্থানে রয়েছি। এর পাশাপাশি আমরা হোম ম্যাচের অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছি।”
“আমরা জানি যে ওমান একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আমরা তাদের মাটিতে ১-৪ গোলে হেরেছিলাম। আমি মনে করি সেটিই ছিল বাছাইয়ে আমাদের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ। এবার ওমান আমাদের মাঠে খেলতে আসছে। তাদের বিপক্ষে আমাদের দলের সকলেই ভালো খেলার চেষ্টা করব। আমি মনে করি, তাদের বিপক্ষে দলগত ভাবে ভালো খেলতে পারলে আমরা পজিটিভ ফলাফল পাব। আমি আমাদের তিনটি ম্যাচেই ভালো ফলাফলের ব্যাপারে আশাবাদী।”