ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সোমবার রোমাঞ্চকর লড়াই শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়। স্টুয়ার্ট আর্মস্ট্রংয়ের গোলে এগিয়ে যায় সাউথ্যাম্পটন। মার্কাস র্যাশফোর্ড সমতা ফেরানোর পর দলকে এগিয়ে নেন অঁতনি মার্সিয়াল। মাইকেল ওবাফেমির যোগ করা সময়ের গোলে জয় হাতছাড়া হয় ইউনাইটেডের।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুটা দারুণ করে সাউথ্যাম্পটন। তবে জেমস ওয়ার্ড-প্রাউসের ভুলে একাদশ মিনিটে গোল হজম করতে বসেছিল দলটি। নিজেদের অর্ধে মার্সিয়ালকে বল দিয়ে বসেন তিনি। সুযোগটা নিতে পারেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড। শট নেন গোলরক্ষক বরাবর।
পরের মিনিটে পল পগবা বল হারালে পেয়ে যান ন্যাথান রেডমন্ড। তার ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন অরক্ষিক আর্মস্ট্রং। এগিয়ে যায় সাউথ্যাম্পটন।
গোল হজমের পর যেন জেগে ওঠে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকে খেলতে নামা ইউনাইটেড। ষোড়শ মিনিটে জালে বল পাঠান র্যাশফোর্ড। তবে অফসাইডের জন্য গোল হয়নি।
তিন মিনিট পর মার্সিয়ালের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। বাঁ দিকে ব্রুনো ফের্নান্দেসের কাছ থেকে বল পেয়ে আড়াআড়ি ভেতরে ঢুকে গতিময় শটে ফরাসি ফরোয়ার্ড খুঁজে নেন জাল। গোলরক্ষকসহ সাউথ্যাম্পটনের আট খেলোয়াড় ডি-বক্সের ভেতরে থাকলেও ঠেকাতে পারেনি তাকে।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে ৬৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন র্যাশফোর্ড। বাইলাইন থেকে মার্সিয়াল কাট করলে বিপজ্জনক জায়গায় বল পান এই ফরোয়ার্ড। খুব কাছ থেকেও বাকিটা সারতে পারেননি তিনি।
শেষের দিকে একের পর এক আক্রমণে ইউনাইটেডকে চেপে ধরে সাউথ্যাম্পটন। ৮৫তম মিনিটে দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে ইউনাইটেডকে রক্ষা করেন দলটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নিজের চারশতম ম্যাচ খেলা দাভিদ দে হেয়া।
চলতি মৌসুমে ঘরের চেয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি সফল সাউথ্যাম্পটনকে শেষ পর্যন্ত ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি স্প্যানিশ এই গোলরক্ষক। কর্নার থেকে ইয়ান বেডনারেকের ফ্লিকে বল পেয়ে যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে জাল খুঁজে নেন ওবাফেমি। হাতছাড়া হয়ে যায় ইউনাইটেডের তিনে ওঠার সুযোগ।
৩৫ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচেই থেকে গেল সুলশারের দল। গোল পার্থক্যে তাদের চেয়ে এগিয়ে লেস্টার সিটি।
আগেই শিরোপা জিতে নেওয়া লিভারপুলের পয়েন্ট ৯৩। ৭২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি। তিনে থাকা চেলসির পয়েন্ট ৬০।