রেকর্ড থেকে ৭৮ মিনিট দূরে কোর্তোয়া

রিয়াল মাদ্রিদের গোলপোস্টের নিচে গত মৌসুমের পারফরম্যান্স নিয়ে হয়েছিল সমালোচনা। তবে চলতি মৌসুমে যেন দেখা মিলছে অন্য এক থিবো কোর্তোয়ার। ম্যাচের পর ম্যাচ অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে অক্ষত রাখছেন জাল। তাতে নিজের একটি রেকর্ড নতুন করে লেখার আশা জাগিয়েছেন বেলজিয়ান এই গোলরক্ষক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2020, 02:59 PM
Updated : 11 July 2020, 03:12 PM

টানা ৪৫৭ মিনিট কোনো গোল হজম করেননি কোর্তোয়া। আর ৭৮ মিনিট এই কৃতিত্ব দেখাতে পারলে ছুঁয়ে ফেলবেন নিজের রেকর্ড। এর আগে একবার টানা ৫৩৫ মিনিট জাল অক্ষত রেখেছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।

লা লিগায় শুক্রবার রাতে আলাভেসকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে রিয়াল। দুই ডিফেন্ডার সের্হিও রামোস ও দানি কারভাহালকে ছাড়া খেলতে নামা এই ম্যাচে দারুণ কিছু সেভ করেন কোর্তোয়া।

ম্যাচের ২৬তম মিনিটে অলিভার বার্কের জোরালো নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি। ৬৩তম মিনিটে তার নৈপুণ্যে আবারও রক্ষা পায় রিয়াল; ঠেকিয়ে দেন এদগার মেন্দেসের জোরালো শট।

এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জাল অক্ষত রাখলেন ২০১৮ সালে ইংলিশ ক্লাব চেলসি থেকে রিয়ালে নাম লেখানো কোর্তোয়া।

এবারের লিগে এখন পর্যন্ত ৩২ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৮টি গোল হজম করেছেন কোর্তোয়া। ম্যাচপ্রতি ০.৫৬ গোল হজম করে জামোরা অ্যাওয়ার্ড (লিগে সবচেয়ে কম গোল হজমের পুরস্কার) জয়ের দৌড়ে আছেন শীর্ষে। গত চার মৌসুমে পুরস্কারটা পেয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।

পরের ম্যাচে গ্রানাদার বিপক্ষে জাল অক্ষত রাখতে পারলে এমন এক কীর্তি গড়বেন তিনি, যা ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর কোনো গোলরক্ষক পারেননি-টানা ছয় ম্যাচে জাল অক্ষত রাখা। তার ওপরে থাকবেন কেবল টানা সাত ম্যাচে এই কৃতিত্ব দেখানো ফ্রান্সিস্কো বুয়ো ও সান্তি কানিহারেস।

আতলেতিকোর হয়ে ২০১৩-১৪ মৌসুমে লা লিগা শিরোপা জেতার পথে কোর্তোয়া ৩৪ ম্যাচে গোল হজম করেছিলেন ২৪টি। আর জাল অক্ষত রাখেন ২০ ম্যাচে।

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত গোল হজম করেছেন মাত্র ১৮টি। জাল অক্ষত রেখেছেন ১৮ ম্যাচে। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে রিয়ালের গোলপোস্টের নিচে তার উন্নতির ছাপ।

লিগে রিয়ালের বাকি আছে তিন ম্যাচ। এর মধ্যে গ্রানাদা ও লেগানেসের বিপক্ষে খেলবে প্রতিপক্ষের মাঠে। আর নিজেদের মাঠে খেলবে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে। নিজের আগের রেকর্ড ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ কোর্তোয়ার সামনে।