আলাভেসকে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল

দারুণ কয়েকটি প্রতি-আক্রমণে ভীতি ছড়ালেও থিবো কোর্তোয়ার দেয়াল ভাঙতে পারল না আলাভেস। দুই অর্ধের দুই গোলে দারুণ এক জয় পেল রিয়াল মাদ্রিদ। পৌঁছে গেল লা লিগা শিরোপা জয়ের আরও কাছে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2020, 09:58 PM
Updated : 10 July 2020, 10:16 PM

আলফ্রেদো দে স্তেফানো স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে জিনেদিন জিদানের দল। করিম বেনজেমার গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্কো আসেনসিও।

এই জয়ে আবারও ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে গেল মাদ্রিদের ক্লাবটি। ৩৫ ম্যাচে ২৪ জয় ও আট ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৮০। সমান ম্যাচে ২৩ জয় ও সাত ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭৬।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরুতে রোমাঞ্চ ছড়ানো লড়াইয়ের তৃতীয় মিনিটে গোল খেতে বসেছিল রিয়াল। নিজেদেরই সাবেক স্ট্রাইকার হোসেলুর হেড ক্রসবারে লাগলে বেঁচে যায় তারা।

একাদশ মিনিটে বেনজেমার সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা ফেরলঁদ মঁদিকে ডিফেন্ডার চিমো নাভারো ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

আসরে বেনজেমার এটি ১৮তম গোল। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে পেনাল্টি পেল রিয়াল। আগের দুই ম্যাচে সের্হিও রামোসের সফল স্পট কিকে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। ২০০৫-০৬ মৌসুমের পর এই প্রথম স্পেনের শীর্ষ লিগে টানা তিন ম্যাচে কোনো দল পেনাল্টি পেল।

ছয় মিনিট পর আত্মঘাতী গোল খেতে বসেছিল আলাভেস। টনি ক্রুসের ছোট ডি-বক্সের মুখে বাড়ানো বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠাতে যাচ্ছিলেন ভিক্তর কামারাসো, কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। ২৬তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে অলিভার বার্কের জোরালো নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।

৩৪তম মিনিটে রিয়াল শিবিরে আবারও ভীতি ছড়ায় সফরকারীরা। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে দুজনকে ফাঁকি দিয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছে বল বাড়ান বার্ক। ফাঁকায় বল পেয়েও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি হোসেলু।

প্রথমার্ধে গোড়ালির গাঁটে ব্যথা পাওয়া রেফারি জিল মানসালো বিরতির পর আর মাঠে নামতে পারেননি। তার জায়গায় ম্যাচ পরিচালনা করেন রদ্রিগেস কারবাইয়ো।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আসেনসিও। মাঝমাঠে রদ্রিগোর দারুণ পাস ধরে দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ দিকে বল বাড়ান বেনজেমা। অরক্ষিত আসেনসিও অনায়াসে বল জালে পাঠান। প্রথমে অবশ্য অফসাইডের বাঁশি বেজেছিল, পরে ভিএআরের সাহায্যে গোলের সিদ্ধান্ত হয়।

৬৩তম মিনিটে কোর্তোয়ার নৈপুণ্যে আবারও রক্ষা রিয়ালের। এদগার মেন্দেসের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান আগের চার ম্যাচে জাল অক্ষত রাখা বেলজিয়ান গোলরক্ষক।

৭৭তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। তবে বেনজেমার পাস ধরে রদ্রিগোর নেওয়া জোরালো শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক রবের্তো হিমেনেস।

বাকি সময়েও একচেটিয়া চাপ ধরে রেখে কাঙ্ক্ষিত জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। শেষ ৩ ম্যাচের দুটিতে জিতলেই ২০১৭ সালের পর আবারও লিগ জয়ের আনন্দে ভাসবে স্পেনের সফলতম ক্লাবটি।