সান মামেসে রোববার ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে স্পট কিকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন সের্হিও রামোস। ডি-বক্সে মার্সেলো ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ইতুরালদের মতে, এখানে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রেফারি।
“এটা পরিষ্কার পেনাল্টি। বলের সংস্পর্শে আসার সামান্য আগে ব্রাজিলিয়ানের পায়ে পাড়া দেন আতলেতিকোর খেলোয়াড়। এটি যে পেনাল্টি তাতে আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই।”
এর কয়েক মিনিট পর রিয়ালের ডি-বক্সে রামোসের বাধায় পড়ে যান বিলবাও স্ট্রাইকার রাউল গার্সিয়া। রিপ্লেতে দেখা যায়, গার্সিয়ার পায়ের পাতা মাড়িয়ে দিয়েছিলেন রামোস।
কারণ হিসেবে তখন কমেন্টেটরদের বলতে শোনা যায়, রামোসের ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত ছিল না। তবে ইতুরালদের মতে, এটা পেনাল্টি ছিল, যা দেওয়া হয়নি। আর ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত বাধা, সেটা নতুন নিয়মে দেখা হয় না বলেও দাবি করেন তিনি।
“এটাও পেনাল্টি। ইচ্ছাকৃত বাধা কি না, সেটা এখনকার ফুটবলে আর বিবেচ্য নয়। আগের দিনে হলে হয়তো আমি এটা পেনাল্টি দিতাম না; কিন্তু বর্তমান নিয়মে এটা পেনাল্টি।”
এই ম্যাচে ভিএআরের দায়িত্বে থাকা জিল মানসানোর দেখানো যুক্তি মানতে পারছেন না ইতুরালদে।
“ভিএরআরের দায়িত্বে থাকা জিল মানসানোর দাবি, প্রতিপক্ষকে ফেলে দেওয়ার কোনো অভিপ্রায় ছিল না রামোসের; কিন্তু এটা কোনো ইস্যু নয়। নিয়মের বই থেকে উদ্দেশ্যের বিষয়টি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাই এটাও পেনাল্টি।”
আগের ম্যাচেও রামোসের একমাত্র পেনাল্টি গোলে জিতেছিল রিয়াল। তখনও ‘রিয়ালের পক্ষে রেফারি’ সাম্প্রতিক সময়ের চলমান এই আলোচনা-সমালোচনায় ঝড় উঠেছিল। আরও একবার তাদের জয়ের ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠলো।
ম্যাচটি জিতে শিরোপা দৌড়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। দিনের পরের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ব্যবধানে ৪ পয়েন্টে নামিয়ে এনেছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনা।