দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে রোনালদোর ‘স্বস্তি’

গোল তিনি নিয়মিতই করেন। অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর ‘নতুন রূপে’ শুরু হওয়া লিগে যেমন চার ম্যাচের সবকটিতেই পেয়েছেন জালের দেখা। তারপরও জেনোয়ার বিপক্ষে করা গোলটি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর কাছে বিশেষ কিছু। দীর্ঘ দিন পর সরাসরি ফ্রি-কিকে যে পেলেন গোলের দেখা। দারুণ গোলটি করার পর ইউভেন্তুস তারকার অভিব্যক্তি ছিল নাকি অনেকটা এরকম, অবশেষে মিলল!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2020, 10:37 AM
Updated : 5 July 2020, 10:47 AM

ম্যাচ শেষে রোনালদো নিজেও জানান, গোলটি তার জন্য বড় বেশি দরকার ছিল।

সেরি আয় শনিবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বী তোরিনোর বিপক্ষে ইউভেন্তুসের ৪-১ গোলে জেতা ম্যাচের ৬১তম মিনিটে বাঁকানো ফ্রি-কিকে রক্ষণ প্রাচীরের ওপর দিয়ে গোলটি করেন রোনালদো। ইএসপিএনের তথ্যমতে, সব প্রতিযোগিতা মিলে আগের ৪২টি ফ্রি-কিকে ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে জালের দেখা পেলেন ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা। ইতালিয়ান ক্লাবটির জার্সিতে যা প্রথম।

সব মিলে ক্লাব ক্যারিয়ারে তার ফ্রি-কিক থেকে গোল হলো ৪৬টি; রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৩২টি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ১৩টি।

গোলটি করতে পেরে রোনালদো যে একই সঙ্গে ভীষণ খুশি হয়েছেন ও স্বস্তি পেয়েছেন, তা ফুটে উঠল ম্যাচ শেষে কোচ মাওরিসিও সাররির কথায়।

“সত্যি বলতে, আমি কখনও ভাবিনি বিষয়টা (ফ্রি-কিক থেকে গোল করতে না পারা) তাকে অস্বস্তিতে রেখেছিল। কিন্তু ম্যাচ শেষে সে বলে ওঠে: অবশেষে হলো।”

প্রায় দুই বছর লেগে থাকার পর ফ্রি-কিকে আবারও গোল পেয়ে উচ্ছ্বসিত রোনালদো। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে ফ্রি-কিকে হ্যটট্রিকে পূরণ করেছিলেন তিনি, দলকে এনে দিয়েছিলেন মূল্যবান ১ পয়েন্ট। শনিবারের আগে সেটিই ছিল তার শেষ ফ্রি-কিকে গোল।

“আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য ফ্রি-কিকে গোল পাওয়ার প্রয়োজন ছিল আমার।”

চলতি আসরে এটি ছিল তার ২৫তম গোল। ১৯৬১ সালের পর ইউভেন্তুসের প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে মৌসুমে ২৫ গোল করলেন রোনালদো।

এবারের লিগে তার চেয়ে বেশি গোল কেবল লাৎসিওর চিরো ইম্মোবিলের, ২৯টি।

শনিবারের শেষ ম্যাচে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইম্মোবিলের দল ঘরের মাঠে এসি মিলানের কাছে ৩-০ গোলে হেরে গেছে। তাদের এই পরাজয়ে টানা নবম লিগ শিরোপার পথে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে ইউভেন্তুস।