ব্যালন ডি’অরে লেভানদোভস্কির সম্ভাবনা দেখছেন ফ্লিক

বুন্ডেসলিগার পর ঘরে উঠেছে জার্মান কাপও। বায়ার্ন মিউনিখের সফল এই পথচলার অন্যতম কারিগর রবের্ত লেভানদোভস্কির ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হান্স ফ্লিক। এই পোলিশ ফরোয়ার্ড এবার ব্যালন ডি’ অর জিততে পারেন বলে মনে করেন বায়ার্নের এই কোচ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2020, 09:39 AM
Updated : 5 July 2020, 09:39 AM

২০১৯-২০ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৫১ গোল করেছেন লেভানদোভস্কি। গোল সংখ্যায় তার ধারে-কাছেও নেই সময়ের অন্যতম দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।

চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা করেছেন ২৭ গোল। ২৯ গোল করেছেন পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী পর্তুগিজ তারকা রোনালদো। অবশ্য তাদের নিজ নিজ লিগ এখনও শেষ না হওয়ায় দুজনের সামনেই সুযোগ আছে গোল সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার।

বার্লিনে শনিবার জার্মান কাপের ফাইনালে বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে জয় পাওয়া ম্যাচে জোড়া গোল করেন লেভানদোভস্কি। প্রথমবারের মতো এক মৌসুমে করেন পঞ্চাশ বা তার বেশি গোল। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গড়েন চারটি জার্মান কাপের ফাইনালে গোল করার কীর্তি।

বায়ার্নের টানা অষ্টম ও রেকর্ড ৩০তম বুন্ডেসলিগায় জয়েরও নায়ক এই পোলিশ স্ট্রাইকার। এবারের লিগে সর্বোচ্চ ৩৪ গোল করেছেন তিনি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি, করেছেন ১১ গোল। প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথে তার দল রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে চেলসির মাঠে ৩-০ গোলে জিতেছে ফ্লিকের দল।

দলের সাফল্যে যার এত অবদান, সেই তারকার হাতে ব্যালন ডি’অর না ওঠার কারণ দেখছেন না ফ্লিক। কাপ জয়ের পর এ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানান তিনি।

“৫১ গোল করায় ইতোমধ্যে সে ভালো অবস্থানে আছে…যদি গোল দিয়ে বিচার করি, তাহলে বুন্ডেসলিগায় এ মৌসুমে সে ৩৪ গোল করেছে। তখন আবার ভাবতে পারেন, বুন্ডেসলিগার কেউ কিভাবে ব্যালন ডি’ অর জিততে পারে। আমার প্রশ্ন, কেন নয়? এ বছর এই পুরস্কারের জন্য যা করার, সবই সে করেছে। তার জন্য আমার শুভ কামনা।”

গত এক যুগ ধরে ব্যালন ডি’অরে আধিপত্য করে চলেছেন মেসি ও রোনালদো। ২০১৯ সালে ভার্জিল ফন ডাইক ও রোনালদোকে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো এই পুরস্কার জিতে নেন বার্সেলোনা অধিনায়ক। ইউভেন্তুস তারকা রোনালদো জিতেছেন পাঁচবার। গত ১২ বছরে এই দুজন ছাড়া বর্ষসেরার পুরস্কারটি জিতেছেন শুধু লুকা মদ্রিচ; ২০১৮ সালে।

বায়ার্নের কোনো ফুটবলার হিসেবে সবশেষ এই পুরস্কার জিতেছিলেন কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে, ১৯৮১ সালে।