ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাসন গ্রিনউডের জোড়া গোলে ৫-২ ব্যবধানে জিতেছে ইউনাইটেড। প্রতিযোগিতার সফলতম দলটির বাকি তিন গোলদাতা হলেন মার্কাস র্যাশফোর্ড, অঁতনি মার্সিয়াল ও ব্রুনো ফের্নান্দেস।
করোনাভাইরাস বিরতির পর পুনরায় শুরু হওয়া লিগের এই পর্বে ইউনাইটেডের এটি টানা তৃতীয় জয়। নিজেদের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠে ১-১ ড্র করেছিল তারা। এরপর জিতেই চলেছে দলটি। সব প্রতিযোগিতা মিলে এই নিয়ে টানা ১৬ ম্যাচ অপরাজিত রইলো রেকর্ড ২০ বারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
খেলার ধারার বিপরীতে ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার জুনিয়র স্ট্যানিসলাসের গোলে পিছিয়ে পড়ে ইউনাইটেড। পাল্টা জবাব দিতে অবশ্য দেরি করেনি তারা। ফের্নান্দেসের পাস পেয়ে জোরালো শটে সমতা টানেন গ্রিনউড।
ছয় মিনিট পর র্যাশফোর্ডের সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মার্সিয়ালের হেড ডিফেন্ডার অ্যাডাম স্মিথের হাতে লাগলে পেনাল্টিটি পায় ইউনাইটেড। আর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দুর্দান্ত এক গোলে স্কোরলাইন ৩-১ করেন মার্সিয়াল। ডি-বক্সের বাঁ দিকের ঠিক বাইরে থেকে জোরালো কোনাকুনি শটে ক্রসবার ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান কমাতে পারতো সফরকারীরা। তবে তাদের প্রথম প্রচেষ্টা গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া ঠেকানোর পর আহনু দোশিমার শট পোস্টে বাধা পায়।
৪৯তম মিনিটে অবশ্য ঠিকই গোল পেয়ে যায় তারা। ডি-বক্সে ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার এরিক বেইলির হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় বোর্নমাউথ। স্পট কিকে কোনো ভুল করেননি নরওয়ের ফরোয়ার্ড জসুয়া কিং।
৫৪তম মিনিটে নেমানিয়া মাত্রিচের পাস পেয়ে ১৮ বছর বয়সী গ্রিনউড ডান পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। পাঁচ মিনিট পর স্কোরলাইন ৫-২ করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ফের্নান্দেস।
দিনের আরেক ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৩-০ গোলে হারানো লেস্টার সিটি ৩৩ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে। চার নম্বরে ওঠা ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৫৫।
এক ম্যাচ কম খেলা চেলসির পয়েন্ট ৫৪।
আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা লিভারপুলের পয়েন্ট ৩২ ম্যাচে ৮৬। ২০ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি।