আলফ্রেদো দে স্তেফানো স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে লিগ ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। স্পেনের সফলতম দলটির জয়সূচক গোলটি করেন সের্হিও রামোস।
৩৩ ম্যাচে ২২ জয় ও আট ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট হলো ৭৪। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭০।
ম্যাচের শুরুতে বল দখলে রিয়াল এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে আধিপত্য ছিল গেতাফের। অষ্টম মিনিটে গোলও পেতে পারত তারা। মাথিয়াস অলিভেরার হেডে বল চাভিয়েরের হাঁটুতে লেগে পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়াতে যাচ্ছিল। দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে জাল অক্ষত রাখেন থিবো কের্তোয়া।
প্রথম ২২ মিনিটে রিয়ালের রক্ষণে একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে গেতাফে। এসময় চারটি কর্নার পায় তারা, বিপরীতে স্বাগতিকরা উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণই করতে পারেনি।
পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে তারা। লুকা মদ্রিচের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ফেরলঁদ মঁদি ছোট ডি-বক্সের মুখে নিচু পাস দেন। ছুটে গিয়ে ভিনিসিউস জুনিয়রের প্রচেষ্টা ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক দাভিদ সোরিয়া।
কুলিং ব্রেক-এর পরপরই আরেকটি ভালো সুযোগ নষ্ট হয় রিয়ালের। রামোসের ক্রসে ইসকোর ভলি রুখে দেন সোরিয়া।
দারুণ পাসিং ফুটবলে ওঠা আক্রমণে ৫৮তম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন মদ্রিচ। তবে তার শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। আট মিনিট পর আসেনসিওর পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে দুর্বল শট নিয়ে হতাশা বাড়ান করিম বেনজেমা।
গোলের অপেক্ষা শেষ হয় ৭৯তম মিনিটে। ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া দানি কারভাহাল ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত স্পট কিকে গোলটি করেন রামোস। আসরে রিয়াল অধিনায়কের এটি নবম গোল, দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শেষ ১১ ম্যাচে এটি তার ষষ্ঠ গোল।
বাকি সময়ে কোনো পক্ষই তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। দুই মৌসুম পর শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দারুণ এক জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে মাদ্রিদের দলটি।
অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর পুনরায় শুরু হওয়া লিগে ছয় ম্যাচ খেলে সবকটিতে জিতল রিয়াল। ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর এই প্রথম টানা ছয় ম্যাচ জিতল তারা।
সমান ৩৩ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে গেতাফে।