এমিরেটস স্টেডিয়ামে বুধবার ৪-০ গোলে জিতেছে মিকেল আর্তেতার দল। জোড়া গোল করেন অবামেয়াং। অন্য দুই গোল গ্রানিত জাকা ও সেদরিক সোয়ারেসের।
টানা দ্বিতীয় জয়ে ৩২ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে আর্সেনাল। গত ডিসেম্বরে লিগে প্রথম দেখায় নরিচ সিটির মাঠে ২-২ ড্র করেছিল দলটি।
ম্যাচের শুরুর দিকে বল দখলে এগিয়ে থাকা আর্সেনালের সামনে প্রথম ভালো সুযোগ আসে দশম মিনিটে। ডি-বক্সের ভেতর থেকে অবামেয়াংয়ের জোরালো শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান নরিচ গোলরক্ষক টিম ক্রুল।
২০তম মিনিটে অল্পের জন্য গোল পায়নি নরিচ। ইংলিশ ডিফেন্ডার বেন গডফ্রের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট বাঁ পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়।
৩৩তম মিনিটে সফরকারী গোলরক্ষকের মারাত্মক ভুলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। সতীর্থের ব্যাক-পাস ক্লিয়ার করতে অনেকটা সময় নেওয়া ক্রুল এগিয়ে আসা অবামেয়াংকে কাটাতে ব্যর্থ হন। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফাঁকা জাল খুঁজে নেন গ্যাবন ফরোয়ার্ড অবামেয়াং।
চার মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে স্বাগতিকরা। এই গোলেও অবদান ছিল অবামেয়াংয়ের। বাঁ দিক থেকে তার কাট ব্যাক ডি-বক্সের ভেতরে পেয়ে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন জাকা। গোলরক্ষকের দুই পায়ের মাঝ দিয়ে বল জালে জড়ায়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে প্রতিপক্ষের ফ্রি-কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান আর্সেনাল গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। বিরতির পর আরেকটি দারুণ সেভ করে দলের ত্রাতা আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষক।
৬৭তম মিনিটে প্রতিপক্ষের আরেকটি ভুলে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন অবামেয়াং। নরিচের এক খেলোয়াড়ের পাস ডি-বক্সের ভেতরে পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
৮১তম মিনিটে জালের দেখা পান সেদরিক। কর্নার থেকে আসা বল ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি নরিচ। ডি-বক্সের সামনে থেকে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার সেদরিক।